
নয়াদিল্লি: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, এই জটিলতা নতুন নয়। হামেশাই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছে একাধিক রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ উঠেছে বঙ্গে, এই অভিযোগ উঠেছে তামিলনাড়ুতেও। কিন্তু রাজ্যপালের ক্ষমতা বা কতটাই? বিধানসভা হয়ে পাশ হওয়া একটা বিলকে কত দিনই বা আটকে রাখতে পারেন তিনি?
এই মর্মেই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল শুনানি। বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেভানের বেঞ্চে উঠেছিল সেই মামলা। তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবির বিরুদ্ধে দিনের পর দিন বিল আটকে রাখার অভিযোগ তুলে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল সে রাজ্যের শাসকদল। আর তাতেই বড় রায় শীর্ষ আদালতের।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত দশটি বিল নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারের। তাদের অভিযোগ, বিধানসভা থেকে দ্বিতীয়বার এই দশটি বিল পাস করিয়ে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হলে, তিনি সেই নিয়ে কোনও সম্মতি দেন না। দিনের পর দিন বিলগুলিকে নিজের কাছেই আটকে রাখেন। পরবর্তীতে সেই বিলের অনুমোদন প্রসঙ্গে আবার রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চান।
এদিন শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে সম্পূর্ণ ভাবে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করে। তাছাড়াও, একজন রাজ্যপালের ক্ষমতা কতটা তা মনে করিয়ে দিয়ে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, যেহেতু তিনি একবার এই দশটি বিলকে খারিজ করেছিলেন। তারপর আবার সেই বিলগুলিকে রাজ্যপাল এতদিনের জন্য আটকে রাখতে পারেন না। তাঁর উচিত ছিল বিলগুলি যখন পুনরায় বিধানসভায় পাশ হয়ে তাঁর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে, তখন সেগুলিতে অনুমোদন দেওয়া।
শীর্ষ আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, ‘রাজনীতিক হিসাবে নয়, বরং একজন মার্গদর্শক হিসাবে রাজ্যপালের কাজ করা উচিত। এমনকি, সংঘাত পর্বে রাজ্যপালই ঐক্যের পথকে প্রশস্ত করবেন। তাঁকে মাথায় রাখতে হবে, তিনি যেন রাজ্যের কোনও কাজে বাধা না হন। রাজ্য সরকার বা জনগণের মতের ভিন্ন মত রাজ্যপাল পোষণ করলে তা তাঁর শপথভঙ্গের সমান।’
এক নজরে বিচারপতির নির্দেশ