
নয়াদিল্লি: ভারতে দত্তক নেওয়ার প্রবণতা সময়ের সঙ্গে খুব একটা বাড়েনি। তবে মানুষের এই প্রসঙ্গে ধারণা এবং এই সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে চিন্তা-ভাবনায় যে একেবারে বদল ঘটেনি এমনটাও নয়। তবে কেউ কেউ বলে থাকেন, দেশের নানা আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা কিছুটা হলেও এই দত্তক প্রবণতায় বাধা হয়ে থাকে।
বুধবার সেই প্রসঙ্গটা উঠল দেশের শীর্ষ আদালতেও। ভারতে শিশু দত্তক নেওয়া বেশ কষ্টকর এবং জটিল বলেই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। এদিন বিচারপতি নাগারত্ন এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে শিশু পাচার সংক্রান্ত একটি মামলায় উঠে এল দত্তক প্রসঙ্গ। বর্তমানে দেশে একটি শিশু দত্তক নেওয়া যে বিরাট জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই কথাটাই বলল আদালত। পাশাপাশি, এই প্রক্রিয়া নির্ঝঞ্ঝাট ও সরল করারও পরামর্শ দিলেন বিচারপতিরা।
নতুন বছর পড়ে মার্চ পর্যন্ত শিশু দত্তক নেওয়ার সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে সাড়ে চার হাজারের গণ্ডি। যা গত ১১ বছরে সর্বাধিক। কিন্তু শিশু দত্তকের প্রক্রিয়ার জন্য এই বৃদ্ধি কাল ধসে পড়বে না, এই নিশ্চয়তা দেওয়া অসম্ভব। কারণ শিশু দত্তক নেওয়ার আবেদন জমা করার পর দম্পতিদের গড়ে তিন থেকে সরে তিন বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গেই বিচারপতিরা বলেন, “বর্তমান দত্তক প্রক্রিয়া বড্ড দীর্ঘমেয়াদি। যেখানে নিঃসন্তান দম্পতিরা তাদের সন্তানদের কাছে পাওয়ার জন্য উতলা হয়ে পড়ছেন। সেই সময় দাঁড়িয়েও শুধুমাত্র সন্তানকে দত্তক নিতে সময় লাগছে তিন থেকে সরে তিন বছর। যে সত্যিই কষ্টকর।”