
নয়াদিল্লি: রাজ্য সরকারকে ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেশের শীর্ষ আদালতের। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে চলছিল এই মামলার শুনানি। সেখানেই মধ্য প্রদেশ সরকারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।
আসামী পাবে ২৫ লক্ষ টাকা
এই টাকার অঙ্ক মোটেই ছোট নয়। আর পাচ্ছেন কে? ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক দোষী। কিন্তু কেন? নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় মধ্য প্রদেশের সেশন কোর্ট। পরবর্তীতে সেই সাজা কমানোর জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানান ওই আসামী। এরপর ২০০৭ সালে দোষীর আর্জি মঞ্জুর করে আদালত। যাবজ্জীবন সাজা নেমে আসে ৭ বছরের কারাদণ্ডে।
কিন্তু এরপর যে আসামী ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন এমনটা নয়। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জুন মাসে জেলমুক্তি হয় তার। অর্থাৎ সাজা সম্পূর্ণ হওয়ার এক দশক পর ছাড়া পান তিনি। আর বেরতেই দ্বারস্থ হন শীর্ষ আদালতে। সোমবার ছিল সেই মামলারই শুনানি।
শুনানি পর্বে আসামীর তরফের আইনজীবী দাবি করেন, সাজা পূরণ হওয়ার পরও তাকে ৮ বছরের বেশি সময় জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। যার দায় মধ্য প্রদেশ সরকারের দিকেই ঠেলে দেন সওয়ালকারী। পাল্টা রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, মাঝে অনেকটা বছরই তিনি প্যারোলে ছিলেন, তাই ৮ বছর বাড়তি সাজার অভিযোগ অযৌক্তিক। পাল্টা মামলাকারীর আইনজীবীর একটি হিসাব ধরে দাবি করেন, সাজা পূরণের পর বাড়তি সাড়ে চার বছর তিনি জেল খেটেছেন।
দুই পক্ষের যুক্তি-পাল্টা যুক্তি শোনার পর গাফিলতির জন্য মধ্য প্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, মামলাকারীকে এতগুলো বছর সাজা পূরণের পরেও জেলবন্দি রাখার অভিযোগে মধ্য প্রদেশ সরকারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেয় আদালত।