Surrogacy in India: বিয়ে নামক প্রথাকে বাঁচাতে হবে, সন্তানকে বাবা-মায়ের পরিচয় ছাড়া বাঁচতে না হয়: সুপ্রিম কোর্ট
Surrogacy in India: ভারতের স্যারোগেসি সংক্রান্ত আইনের একটি সেকশন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে একটি মামলা করা হয়েছিল। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, কোনও অবিবাহিত মহিলা স্যারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নিতে পারেন না।
নয়া দিল্লি: বিয়ে করলে তবেই সন্তানের অভিভাবক হওয়া যায়, এমন ধারণা থেকে দূরে সরে এসেছেন অনেকেই। অবিবাহিত হয়ে সন্তান দত্তক নেওয়া বা স্যারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে বিয়ের প্রয়োজনীয়তা কমছে অনেকাংশে। কিন্তু বিয়ে নামক এই ভারতীয় প্রথার গুরুত্ব যাতে কমে না যায়, সেই বার্তা দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এক ৪৪ বছর বয়সী মহিলা স্যারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘পশ্চিমি দেশগুলিতে বিবাহ বহির্ভূত সন্তান অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। কিন্তু ভারতে বিয়ে নামক প্রথা আছে, তা যেন সেই পথে এগিয়ে না যায়।’
আবেদনটি করেছিলেন এমএনসি সংস্থায় কর্মরত এক মহিলা। ভারতের স্যারোগেসি সংক্রান্ত আইনের একটি সেকশন নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর। তাই চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ওই মহিলা। স্যারোগেসি আইনের ২ নম্বর ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, কোনও অবিবাহিত মহিলা স্যারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নিতে পারেন না।
আবেদনকারীর দাবি, ওই আইন বিভেদমূলক, এর পিছনে কোনও কারণ নেই। তিনি মনে করেন এ ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তাঁর আবেদন শুনে সুপ্রিম কোর্ট বলে, মহিলার কাছে মা হওয়ার আরও অনেক উপায় আছে। তিনি চাইলে বিয়ে করতে পারেন বা সন্তান দত্তক নিতে পারেন। কিন্তু মহিলা বিয়ে করতেও রাজি নন, আর দত্তক নিতে গেলে যে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, সেটাও তিনি চাইছেন না।
বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জের বেঞ্চ বলে, ভারতে বিয়ে হওয়ার পর সন্তান হওয়াই নিয়ম। বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানকে এভাবে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায় না। পাশাপাশি, আদালতে পর্যবেক্ষণ, ৪৪ বছর বয়সে সন্তানকে মানুষ করা কঠিন। জীবনে সব কিছু পাওয়া যায়না বলেও উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত।
আবেদনকারীর আইনজীবীকে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘পশ্চিমের অনেক দেশে সন্তানেরা বাবা-মায়ের পরিচয় পর্যন্ত জানতে পারে না। আমরা চাই না, আমাদের দেশেও ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের পরিচয় ছাড়া চলবে। বিয়ে ছাড়া একজন সন্তানকে মানুষ করা কোনও নিয়ম নয়, ব্যতিক্রম মাত্র।’ বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, ‘বিয়ে নাম প্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত থাকা উচিত, এর জন্য আমাদের গোঁড়া বলতে পারেন, আমরা মেনে নেব।’