
নয়াদিল্লি: মাঝে কেটে গিয়েছে তিনটে বছর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে একের পর এক আদালত পেরিয়ে চলেছে শুনানি। অবশেষে সুপ্রিম হস্তক্ষেপে ঘুরে গেল মোড়। জেতা প্রার্থী রাতারাতি পরিণত হলেন প্রধান বিরোধী নেতায়।
সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি এন কটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চে। ২০২২ সালে হরিয়ানায় হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে পানিপথ জেলার বুয়ানা লাখু গ্রামে হেরে যাওয়া প্রার্থী মোহিত কুমার নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে গিয়ে মামলা দায়ের করে। নিম্ন আদালতে শুরু হয়ে শুনানি।
চলতি বছর নিম্ন আদালত পরাজিত প্রার্থী মোহিত কুমারের দাবি অনুযায়ী পুনরায় ইভিএম এ পড়া ভোট গণনার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন ২২- এর নির্বাচনে জয়ী কুলদীপ সিং। প্রধানের পক্ষেই যায় রায়। নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে হাইকোর্ট। আবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন মোহিত।
সেখানেই নিম্ন আদালতের রায়কেই বহাল রাখেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। গত ৩১ জুলাই পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি সূর্য কান্ত নির্দেশ, “আদালত নির্ধারিত রেজিস্ট্রারের সামনে ভিডিও ক্যামেরা বন্দী করে চলবে ভোট গণনা। সেই সময়কালে গণনা কেন্দ্রেই উপস্থিত থাকবেন দুই পক্ষের প্রার্থী।” যেমন নির্দেশ, তেমনটাই হল। আর তাতেই পাল্টে গেল ফলাফল। গণনার পর দেখা গেল, হেরে যাওয়া প্রার্থী মোহিত কুমার ৫১ ভোটের ব্যবধানে মোট ১ হাজার ৫১ ভোট জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে কুলদীপ সিং পেয়েছেন হাজারটি ভোট। ইতিমধ্যেই পানিপথের ডেপুটি নির্বাচনী আধিকারিককে দু’দিনের মধ্যে জয়ী প্রার্থী নাম ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।