‘রাজ্যের মানুষের স্বার্থে রেল পরিষেবা চালু করুন’, সরাসরি রেলমন্ত্রীকে চিঠি বিজেপির

Local train: রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।

'রাজ্যের মানুষের স্বার্থে রেল পরিষেবা চালু করুন', সরাসরি রেলমন্ত্রীকে চিঠি বিজেপির
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jul 01, 2021 | 3:48 PM

নয়া দিল্লি: কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত এপ্রিল মাসের শেষের দিক থেকেই রাজ্যে রেল ও মেট্রো পরিষেবা বন্ধ। লকডাউন না হলেও, কড়া বিধি-নিষেধ জারি করা হয় রাজ্যে। সংক্রমণ কিছুটা কমায় সেই সব নিয়ম শিথিল করা হলেও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়নি এখনও। স্বাভাবিক হয়নি মেট্রো পরিষেবাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন সংক্রমণের বাড়-বাড়ন্ত রুখতে ট্রেন চালু হবে না এখনই। কিন্তু মানুষের সুবিধার কথা ভেবে ট্রেন চালু করার কথা বলছে গেরুয়া শিবির। সেই বিষয়ে নজর দিতে সরাসরি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।

আজ, বৃহস্পতিবার সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে রেলমন্ত্রীকে। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, বিধি-নিষেধ উঠতে শুরু করলেও রেলের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। চিঠিতে তাঁর দাবি, রেল পরিষেবা চালু হলে সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হবে। কারণ অনেকেই জীবন-ধারণের জন্য দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই রেল পরিষেবা চালু করার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। রেলমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার মন্ত্রকের দিকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টাতে নজর দেন, তাহলে ভাল হবে।

স্বপন দাশগুপ্তের এই চিঠিতে রেল পরিষেবা নিয়ে কেন্দ্র-রা্জ্য সংঘাত আরও প্রকট হল। একদিকে যখন রাজ্য রেল চালু করতে চাইছে না, তখন সরাসরি রেলমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে বিজেপি সংঘাত আরও বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: জবাব চেয়ে নোটিস কেন্দ্র, রাজ্য, নির্বাচন কমিশনকে

আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্য গণপরিবহন চালু হয়েছে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকে বাস কম থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগের ছবি চোখে পড়েছে। এই অবস্থায় ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, ‘সমস্যা মেটাতে ৫০ হাজার বাসের দরকার আছে। বাসের ভাড়া নিয়েও সমস্যা আছে। যাত্রীদের বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাম থেকে কলকাতার বাইরের লোক না এলে অফিস চলবে কি করে?’ তাঁর দাবি, ট্রেন যদি চলে তাহলে মান্থলি করে আসতে পারবেন যাত্রীরা, বেশি ভাড়া দিতে হবে না। ট্রেনটা আগে চলা উচিত। তাহলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেটা না করে বন্ধ করে রেখেছে। তাঁকে পাল্টা তোপ দেগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যারা এত দিন রাজ্যটা চালাচ্ছে, তাদের থেকে কি উনি বেশি ভাল বোঝেন?’ এই পথে সংক্রমণ মুক্তি ঘটবে বলে দাবি কুণালের।