মুসৌরি: “আমি ঠিক আছি। একজন লেখক হিসেবে আমি সব সময় বাড়িতে থেকে কাজ করেছি। তাই এই লকডাউনে (lockdown) আমার তেমন কোনও অসুবিধে হচ্ছে না।” এক সংবাদ মধ্যমকে বললেন ভারতীয় ইংরেজি সাহিত্যের সম্রাট রাস্কিন বন্ড (Ruskin Bond)। ছোট বেলায় পাঠ্য বইয়ে অনেকেই তাঁর লেখা পড়তে হয়েছে। করোনার আবহে পাহাড়ের কোলেই দিব্যি দিন কাটছে লেখকের। লেখালিখি করে সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
পৃথিবীতে করোনা আসার আগে নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন তিনি। একাধিক লিটারারি ফেস্টিভ্যালে আমন্ত্রিত হতেন রাস্কিন বন্ড। তবে ল্যান্ডোরে পাহাড়ের কোলে আইভি কটেজই সবচেয়ে বেশি প্রিয় তাঁর। একসময় ভাগ্যের অন্বেষণে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন। এই মেকি জগত ভাল লাগেনি তাঁর। ফিরে এসেছেন মুসৌরিতেই। তাঁর বাবা ব্রিটিশ, মা ছিলেন ভারতীয়। আমাদের দেশকে ভালবেসে এখানেই সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন বিশ্ববিখ্যাত লেখক রাস্কিন বন্ড।
একাধিকবার কলকাতয় এসেছেন। বাংলা অনুবাদে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নানা বইপত্র। সাহিত্য আকাদেমি থেকে দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদে প্রকাশ পেয়েছে কিশোর উপন্যাস ‘পায়রা উড়াল’। যে কোনও বয়সের মানুষ তাঁর লেখার গুণমুগ্ধ পাঠক। বিশেষত খুদেরা তাঁকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠে।
সাধারণত ল্যান্ডোরে থাকলে তিনি মুসৌরি ম্যালের কাছে কেমব্রিজ বুক স্টলে শনিবার বিকেলে বসেন। পাহাড়ে বেড়াতে আসা অজস্র পর্যটক-পাঠক তাঁর বইয়ে অটোগ্রাফ নিয়ে যেন। সপ্তাহে একদিন পাঠকদের কাছাকাছি যেতে পেরে নিজেও আনন্দ পেতেন বন্ড। তবে করোনার আবহ সব বদলে দিয়েছে। এখন পাঠকের সঙ্গে মোলাকাতের সুযোগ নেই ৮৭ বছর বয়সী বন্ডের। ছাদের ঘরে লিখেই দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন তিনি।