
নয়াদিল্লি: তিনি এখন ভারতের প্রতিনিধি। বিশ্বের নানা দেশ ঘুরে ভারতের সিঁদুর প্রত্যাঘাতের প্রয়োজনীয়তা বোঝাচ্ছেন। তবে দেশের প্রতিনিধি হিসাবে এই প্রথম নয়। শশী থারুর চলনবলন, ভাষার প্রতি দক্ষতা সর্বদাই তাঁকে বিশ্ব মঞ্চের প্রতিনিধি হিসাবে এগিয়ে রেখেছে। আর তিনি যতবারই বিশ্ব দরবারে গিয়ে ভাষণ দিয়েছেন, তা নজর কেড়েছে প্রায় প্রতিটা ওয়াকিবহাল মানুষেরই।
এমনই ২০১৫ সালে অক্সফোর্ড ইউনিয়নের বিতর্ক সভায় যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরু। সেই বিতর্কের মোশন ছিল, ব্রিটেন তার অতীতের উপনিবেশগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। ব্রিটিশ এলিট বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে সেই সময় ব্রিটিশরাজ নিয়েই পরপর তোপ দেগেছিলেন থারুর। চুপ করে শুনেছিল ব্রিটিশ কর্মকর্তারা।
ঠিক কী কী বলেছিলেন থারুর?
ব্রিটিশ শাসনকে কড়া আক্রমণের মুখে ফেলে তিনি বলেছিলেন, ‘এটাই হয়তো তাদের কুবের হওয়ার প্রতীক। ২০০ বছর ধরে মানুষকে যন্ত্রণা, নির্যাতন, নিপীড়ন করা ও সব শেষে নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে উদযাপন করা। আসলে গণতন্ত্রটা আমাদের কেউ দেয়নি। তা আমাদের ছিনিয়ে নিতে হয়েছিল।’
ব্রিটিশ শাসনকালে একটা কথা খুব প্রচলিত ছিল। যে ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য কখনও অস্ত যায় না।’ অক্সফোর্ডে দাঁড়িয়ে সেই চিরাচরিত বাক্যকে খণ্ডন করে থারুর বলেছিলেন, ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য কখনও অস্ত যায় না কারণ ভগবানও এদের অন্ধকারে ভরসা করতে ভয় পায়।’
ব্রিটিশদের ঘরে দাঁড়িয়েই যখন পরপর তোপ দাগছেন থারুর। সেই সময় তাঁর বিপক্ষে থাকা ব্রিটিশ ব্যক্তি বলে ওঠেন, ব্রিটিশরা ভারতকে রেল ব্যবস্থা উপহার দিয়ে এসেছিল। যার প্রতিবাদ করে থারুর আবার বলেন, ‘সেই সময় ভারতে রাস্তা ও রেল তৈরির অন্যতম কারণ ছিল ব্রিটিশদের সুবিধা দেওয়া। এমনকি, ব্রিটেনে হওয়া শিল্প বিপ্লবও তাঁর উপনিবেশ দেশগুলির বাণিজ্যকে শেষ করে তৈরি করা।’