নয়া দিল্লি: মণিপুর ইস্যুতে শুরু থেকেই উত্তাল বাদল অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ দেখান সাংসদেরা। সোমবার সেই বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়েই সাসপেন্ড করা হয় আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং-কে। পুরো বাদল অধিবেশনে সংসদে প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি। এই নির্দেশের পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা। সংসদ চত্বরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। আপের সেই বিক্ষোভে যোগ দিলেন তৃণমূল সাংসদরাও।
সোমবার দুপুর ১২ টায় বহিষ্কার করা হয় সঞ্জয় সিং-কে। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে ধরনা। আপের সঙ্গে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন INDIA জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলিও। এদিন রাতে ধরনায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের একাধিক সাংসদ। প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদ চত্বরে বসে রয়েছেন দোলা সেন, জহর সরকার, শান্তা ছেত্রীরা।
সম্প্রতি বিজেপি বিরোধী ২৬টি দল হাত মিলিয়ে INDIA জোট তৈরি করেছে। সেই জোটে রয়েছে কংগ্রেস, আপ, তৃণমূল, সিপিএমের মতো দলগুলি। এদিন শুধু তৃণমূল নয়, জোটে থাকা অন্যান্য দলগুলির সদস্যরাও যোগ দেন এদিন। ছিলেন, কংগ্রেস ও সিপিএমের সাংসদেরাও। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এই ধরনা চলবে বলে জানা গিয়েছে।
গত সপ্তাহ থেকেই বারবার রাজ্যসভায় বিক্ষোভ দেখান সাংসদ সঞ্জয় সিং। উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় তাঁকে এদিন নিজের আসন গ্রহণ করতে বলেন। এরপর তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন বিজেপি সাংসদ পীযূষ গোয়েল। তিনি দাবি করেন, সঞ্জয় সিং-এর আচরণ সংসদের নীতি-বিরোধী। পদক্ষেপ করার আর্জি জানান উপ রাষ্ট্রপতিকে। ধ্বনি ভোটে পাশ হয় সেই প্রস্তাব। এরপরই বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় আপ সাংসদকে।