Uttar Pradesh: শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়া! ‘দিদিকে জানানোর’ হুঁশিয়ারি দিতেই গণধর্ষণ করাল জামাইবাবু
Uttar Pradesh: প্রাথমিক চিকিৎসার পর অনুমান, গণধর্ষণ করে খুন করা হয় তাকে। আর প্রমাণলোপাট করতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শরীর। ঘটনায় সন্দেহের বশেই জামাইবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চলে জেরা। অবশেষে মুখ খোলে সে।

লখনউ: ৪০ হাজার টাকা ঋণ তুলে ভাড়াটে গুণ্ডা দিয়ে শ্য়ালিকাকে গণধর্ষণ করানোর অভিযোগে গ্রেফতার জামাইবাবু। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের। এদিন শ্যালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত জামাইবাবু-সহ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ২১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সেই নির্যাতিতা। ঘটনার দু’দিন পর মেয়ের খোঁজে অবশেষে থানায় দ্বারস্থ হয় পরিবার। কিন্তু দিন শেষে মেলে নিরাশা। হাজার খানা তল্লাশির পর হদিশ মেলে না সেই মেয়ের। এর বেশ কয়েকদিন পর এলাকার খালের ধার থেকে দগ্ধ অবস্থায় নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর অনুমান, গণধর্ষণ করে খুন করা হয় তাকে। আর প্রমাণলোপাট করতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শরীর। ঘটনায় সন্দেহের বশেই জামাইবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চলে জেরা। অবশেষে মুখ খোলে সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শ্যালিকার সঙ্গেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জামাইবাবুর। কিন্তু, এই সম্পর্ক নিয়ে হামেশাই দিদির কাছে সব ফাঁস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিত শ্যালিকা। আর সেই ভয়েই নাকি তাঁকে খুনের পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলে অভিযুক্ত।
কিন্তু একা কি তাকে মৃত্যু দোরগোড়ায় ঠেলে দেওয়া সম্ভব? মনে কুপ্রশ্ন উদয় হতেই নিজের দুই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধুর শ্য়ালিকাকে খুনে রাজিও হয়ে যায় তারা। তারপর শ্যালিকাকে ঘোরানোর ছুতোয় স্কুটারে চাপিয়ে একটি পরিত্যক্ত এলাকায় নিয়ে যায় জামাইবাবু। সেখানেই চলে এই নারকীয় কাণ্ড।
প্রথমে গণধর্ষণ। তারপর গলা টিপে নির্যাতিতাকে খুন। তবে এখানেই থামেনি সেই পৈশাচিক কর্মকাণ্ড। এরপর প্রমাণলোপাট করতে পেট্রোল ঢেলে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে।





