
রাঁচি: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। সোমবার ছত্তীসগঢ়ের পর ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী দমন অভিযান চালাল যৌথ বাহিনী। অমিত শাহের ‘মাওবাদী-শূন্য’ দেশ তৈরির প্রতিশ্রুতিকে মাথায় রেখেই চলল সেই অভিযান। খতম করা হল তিন মাওবাদীকে। জানা গিয়েছে, তিন জনের মধ্যে একজন আবার ছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা শীর্ষ নেতা। নাম সহদেব সোরেন।
সহদেব সোরেনকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিল যৌথ বাহিনী। অবশেষে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে তাঁর হদিশ পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপরই চলে অভিযানে। সকাল ৬টার সময় জঙ্গলে ঢুকে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর টানা গুলির লড়াই। তাতেই প্রাণ গেল সহদেবের। যার মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। যৌথ বাহিনী সূত্রে খবর, সহদেব ছাড়াও খতম করা হয়েছে আরও দুই মাওবাদীকে। একজনের নাম রঘুনাথ হেমব্রম ওরফে চঞ্চল। অন্যজন হলেন বীরসেন গানঝু ওরফে রামকেলাওয়ান। রঘুনাথ ছিলেন বিহার-ঝাড়খন্ড বিশেষ এরিয়া কমিটির সদস্য, তাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। আর বীরসেন ছিলেন ওই এলাকারই জোনাল কমিটির সদস্য।
ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ গোপন সূত্র মারফৎ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। কোবরা ব্যাটালিয়ন, গিড়িঢি থানার পুলিশ এবং হাজারিবাগ থানার পুলিশ ঢুকে পড়ে সরাসরি সীমান্ত ঘেঁষা কারান্ডি গ্রামে। সেখানেই চলে অভিযান। মিনিট খানেকের মধ্যে শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন কিষেণজির স্ত্রী সুজাতা। তাঁর মাথার দামও ছিল ১ কোটি টাকা। দশক ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির এই অন্যতম মুখ। একাংশ বলছেন, মাওবাদী নেতা বাসবরাজের এনকাউন্টার হওয়ার পর থেকেই শীর্ষ পদ নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত হয়েছে মাওবাদী নেতারা। দেখা গিয়েছে বিভাজন। তৈরি হয়েছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। যার জেরে বিরক্ত হয়ে মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন সুজাতা।