
শ্রীনগর: নৃশংস জঙ্গি হানা জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে। পর্যটকে ভরপুর বৈসরণে বেছে বেছে হত্যালীলা চালিয়েছে পাক মদতপ্রাপ্ত জঙ্গিরা। গুলি করার আগে জানা হয়েছে তাদের ধর্মীয় পরিচয়, তারা হিন্দু নাকি মুসলিম। এই জঙ্গিহানায় ফুটছে গোটা দেশ। অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলছেন, পর্যটন নির্ভর জম্মু-কাশ্মীরে বিগত এত বছরে কখনও পর্যটকদের উপরে হামলা চালানো হয়নি। তাহলে এবারই কেন পর্যটকদের মারল জঙ্গিরা? উত্তর দিয়েছে তারা নিজেই।
মঙ্গলবার হামলার পরই এর দায় স্বীকার করে নিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স। তাদের দাবি, যাদের নিশানা করা হয়েছে, তারা সাধারণ পর্যটক নন, এরা নৌসেনা, গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য। এছাড়া বিদেশি বাহিনীর লোকও ছিল যারা পর্যটকের বেশে আন্ডার-কভার এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে দিল্লি পাঠিয়েছিল।
যদিও জঙ্গিদের এই যুক্তি মানতে নারাজ গোয়েন্দারা। প্রশ্ন উঠছে, পর্যটকদের চাকরি সংক্রান্ত তথ্য জঙ্গিদের হাতে গেল কীভাবে? মনে করা হচ্ছে, মৃতদের তথ্য সংবাদমাধ্যম থেকে জানার পর এই যুক্তি সাজিয়েছে জঙ্গি সংগঠন। নিজেদের ঘাড় থেকে দোষ ঝাড়তে চাইছে যে তারা নিরীহ পর্যটকদের মারেনি!
জঙ্গিদের বিবৃতি।
গতকালই জঙ্গি সংগঠন বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংবিধান সংশোধনের পর যে নয়া আবাসিক আইন আনা হয়েছে, তাতে কাশ্মীরের বাইরের বসবাসকারীরা এসে উপত্যকায় জমি কিনছে এবং নিজেদের স্থায়ী বাসিন্দা বলে দাবি করছে। জম্মু-কাশ্মীরে মোতায়েন সেনাবাহিনীকেও স্থায়ী বাসিন্দা বা ডোমিসাইল স্টেটাস দেওয়া হচ্ছে।
ভিন রাজ্য থেকে আগতদের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বরাত দেওয়া, স্থানীয় বাসিন্দা অর্থাৎ কাশ্মীরীদের চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া, বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে জমি অধিগ্রহণ- এগুলিতে তাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার জবাবেই এই জঙ্গিহানা। জঙ্গিদের যুক্তি, যেহেতু পর্যটক সেজে এসে জমি কিনছে, তাই জঙ্গিহানার নিশানাও বানানো হয়েছে তাদেরই।