Donald Trump Tariffs: ভারতের চালের জন্য ‘ভাত ফুটছে না’ মার্কিন কৃষকদের ঘরে! দ্বারস্থ ট্রাম্পের কাছে

Trump Tariffs on Indian Rice: কৃষক এবং কৃষিপণ্য় প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিকদের সঙ্গে গোল টেবিল বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বৈঠকে উপস্থিত কৃষকরাই কৃষিপণ্য আমদানি নিয়ে অভিযোগ তোলেন। তাঁরা ট্রাম্পকে জানান, বিদেশ থেকে সস্তায় চাল ও অন্যান্য কৃষিপণ্য় আমদানির কারণে মার খাচ্ছে দেশীয় সংস্থাগুলি। মানুষ আমেরিকায় চাষ হওয়া শস্য ছেড়ে সস্তার বিদেশি শস্য কিনছেন।

Donald Trump Tariffs: ভারতের চালের জন্য ভাত ফুটছে না মার্কিন কৃষকদের ঘরে! দ্বারস্থ ট্রাম্পের কাছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পImage Credit source: PTI

|

Dec 09, 2025 | 8:12 AM

ওয়াশিংটন: ভারতের চাল নিয়েও সমস্যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। চাপাতে পারেন বাড়তি শুল্ক। এবার আমেরিকার আমদানিকৃত কৃষিপণ্য়ের দিকে নজর দিয়েছেন ট্রাম্প। শুল্কের বোঝা চাপাতে পারেন কানাডা থেকে আগত সারের উপরেও। যা ঘিরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে তৈরি হয়েছে নতুন সংশয়। চোখের সামনে জুজু দেখছেন একাধিক দেশের ব্য়বসায়ীরা। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত?

মার্কিন মসনদে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণ করেছিলেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘আমেরিকান ড্রিম’ তত্ত্বের কথাও স্মরণ করিয়েছিলেন তিনি। বাণিজ্যিক মহলে আমদানিকৃত রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু তার বদলে সেই দেশ এবং দেশবাসী কি পেয়েছে? এই প্রশ্নই তুলে বারংবার সরব হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। বলা চলে নির্বাচনী প্রচারের সময়ও মূল মন্ত্রই ছিল এই প্রসঙ্গ। তারপর ক্ষমতা আসা এবং ‘মাত্রাহীন’ শুল্ক চাপানো। যার নজির ইতিমধ্যেই দেখেছে গোটা বিশ্ব। বলা যেতে পারে, কৃষিপণ্য়ে শুল্ক চাপানোর নেপথ্য়েও রয়েছে সেই একই তত্ত্ব।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার হোয়াইট হাউসে তহবিল সচিব স্কট বেসেন্ট, কৃষি সচিব ব্রুক রোলিন্স এবং বেশ কয়েকজন কৃষক এবং কৃষিপণ্য় প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিকদের সঙ্গে গোল টেবিল বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বৈঠকে উপস্থিত কৃষকরাই কৃষিপণ্য আমদানি নিয়ে অভিযোগ তোলেন। তাঁরা ট্রাম্পকে জানান, বিদেশ থেকে সস্তায় চাল ও অন্যান্য কৃষিপণ্য় আমদানির কারণে মার খাচ্ছে দেশীয় সংস্থাগুলি। মানুষ আমেরিকায় চাষ হওয়া শস্য ছেড়ে সস্তার বিদেশি শস্য কিনছেন।

যার প্রত্যুত্তরে ট্রাম্প তাঁদের দাবিকে সমর্থন করেন এবং মার্কিন কৃষকদের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা হচ্ছে’ বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি, আশ্বাস দেন শুল্ক চাপানোর। কিন্তু কোন দেশে সবার প্রথমে শুল্কবাণ ছুড়বেন, সেই নিয়ে কৃষকদের কাছেই পরামর্শ চান ট্রাম্প। যার প্রত্য়ুত্তরে একাংশের কৃষক এবং চালকলের মালিক অভিযোগ তোলেন ভারত, থাইল্য়ান্ড এবং চিনের দিকে। এই তিন দেশের সস্তা চাল গোটা বাজার ‘খেয়ে ফেলেছে’ বলেই দাবি তাঁদের। এই প্রসঙ্গে উঠে আসে কানাডার সার ও অন্যান্য কৃষিপণ্য়ের কথাও। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভবত কানাডা দিয়ে নিজের ‘শুল্কাঘাতের’ প্রক্রিয়া শুরু করবেন ট্রাম্প। কিন্তু কতটা শুল্ক চাপাবেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।