Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে বিচ্ছিন্ন বৃদ্ধা, মনে নেই ঠিকানা-ফোন নম্বর; ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই…
Mahakumbh Mela 2025 Family Reunited: ভিড়ের কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। না তো বাড়ির ঠিকানা মনে রয়েছে, এমনকি ফোন নম্বরও না। কিন্তু ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই পরিবারকে ফিরে পেলেন। উত্তর প্রদেশ পুলিশের সহায়তায় পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন। কী ঘটেছে?

উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ। দেশ-বিদেশের কোটি কোটি পুণ্যার্থীর সমাগম। নানা সাধু-সন্নাস্যীদের অবস্থান। মহাকুম্ভে আগুন, পদপিষ্টের মতো নানা অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে এমনই সমস্যায় এক বয়স্ক মহিলা। ভিড়ের কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। না তো বাড়ির ঠিকানা মনে রয়েছে, এমনকি ফোন নম্বরও না। কিন্তু ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই পরিবারকে ফিরে পেলেন। উত্তর প্রদেশ পুলিশের সহায়তায় পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন। কী ঘটেছে?
রাজস্থানের উদয়পুর থেকে পরিবারের সঙ্গে মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন ৬২ বছরের এক মহিলা। কিন্তু এত ভিড়ে পরিবারের সঙ্গে নিজেকে রাখতে পারেননি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। মেয়ের হাত ধরেই হাঁটছিলেন। কিন্তু কোটি কোটি মানুষের ভিড়ে অপ্রীতিকর ঘটনাই ঘটে। মেয়ের হাত ছুটে যায়। খুঁজে পাচ্ছিলেন না কাউকেই। একদিকে যেমন তিনি পরিবারের লোকজনদের খুঁজছেন, অন্যদিকে, পরিবারের লোকজন হন্যে হয়ে খুঁজছে সেই বয়স্ক মহিলাকে। সেই মহিলা কিছুটা সময় এদিক ওদিক মেয়ে এবং পরিবারকে খুঁজে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
কুম্ভে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা উত্তর প্রদেশ পুলিশের কর্মীরা একজন বয়স্ক চিন্তিত মহিলাকে দেখে বুঝতে পারেন, কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু সেই মহিলা পুলিশকে কিছুই বলতে পারছিলেন না। তাঁর কিছুই মনে পড়ছে না, এমনটাই জানান। তিনি শুধু বলেন, যে বাসে এসেছিলেন, সেটুকু মনে রয়েছে।
বয়স্ক মহিলার নাম ভুবনেশ্বরী শর্মা। তাঁর স্বামী সত্যনারায়ণ শর্মা। মহিলার কাছে ছিল না মোবাইল ফোনও। ফলে মেয়ে প্রতিভা এবং স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের কোনও উপায়ই ছিল না। পুলিশ দ্রুত সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেয়। ততক্ষণে সেই মহিলার কন্য উদয়পুরে পরিবারে বাকিদেরও খবর দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে হারিয়ে যাওয়ার তথ্য় শেয়ার করা হয়। কিন্তু মহিলার কাছে না তো ফোন রয়েছে, না কারও ফোন নম্বর মনে রয়েছে। কাজ খুবই কঠিন হয়ে যায়।
পুলিশের সাহায্যেই অবশেষে খুশির পরিস্থিতি। ভুবনেশ্বরী দেবীর ছেলে ললিত জানান, পরিবারের সকলেই খুঁজছেন। পুলিশ যখন সেই বাসের কথা জানতে পারেন, সেই বাসে খোঁজ নেন। কোন কোনও যাত্রী এসেছে বাস মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই তথ্য বের করেন। অবশেষে প্রায় ৩০ ঘণ্টার চেষ্টায় পরিবারের সঙ্গে দেখা হয় ভুবনেশ্বরী দেবীর।





