
নয়াদিল্লি: ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরই স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালু করে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। দেশজুড়ে শুরু হয় স্বচ্ছতা অভিযান। সেই অভিযানে শুধু যে ভারত স্বচ্ছ হচ্ছে তা-ই নয়, আয়ও হচ্ছে সরকারের। এ বছর স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অক্টোবরের ২ তারিখ থেকে মাত্র ৩ সপ্তাহে কত আয় হয়েছে সরকারের, তার হিসেব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি জানালেন, মাত্র তিন সপ্তাহে ৩৮৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে। এ বছর স্বচ্ছ ভারত অভিযান শেষে সেই অঙ্ক কয়েক হাজার কোটিতে পৌঁছে যাবে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশা।
এক্স হ্যান্ডলে জিতেন্দ্র সিং লিখেছেন, “অক্টোবরের ২ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত স্বচ্ছতা অভিযান হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তিন সপ্তাহে পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি করে ৩৮৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে। চার সপ্তাহের এই অভিযান শেষে সেই আয় বেড়ে হতে পারে ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা।” সরকারি বিভিন্ন অফিসে পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি করে শুধু আয়ই হচ্ছে না, অফিসগুলির জায়গাও ফাঁকা হচ্ছে। এর ফলে সুবিধা হচ্ছে অফিসগুলির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেব দিয়ে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৪৮ লক্ষ বর্গ ফুট জায়গা ফাঁকা হয়েছে।
#Swachhata Campaign 5.0 Update:
In the campaign lasting from October 2 to 31, the figures of first three weeks reveal that, so far, ₹387 crore have already been earned by disposing of the scrap and by the time the four week campaign closes, the figure is likely to go up to… pic.twitter.com/jOS19X6YDw
— Dr Jitendra Singh (@DrJitendraSingh) October 28, 2025
তথ্য বলছে, ২০২১ সাল থেকে সরকারি অফিসগুলিতে স্বচ্ছতা অভিযান চালিয়ে পুরনো জিনিস বিক্রির ফলে ৮৪৪.৪৬ লক্ষ বর্গ ফুট জায়গা ফাঁকা করা হয়েছে। সরকারের আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা।
এ বছরের ‘বিশেষ স্বচ্ছতা অভিযানে’ এবার শুরু হবে ‘ওয়েস্ট টু ওয়েলথ মিশন’। বর্জ্যকে সম্পদ বানাতেই এই অভিযান। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করা হবে। সেকথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারগুলিকে অভিযানে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান। স্বচ্ছতা অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য এর আগেও সবাইকে আহ্বান জানিয়েছিলেন জিতেন্দ্র সিং। তিনি বলেছিলেন, স্বচ্ছতা অভিযান একটা নিরন্তর প্রক্রিয়া। এতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।