
রায়পুর: অস্বাভাবিক যৌনতায় সম্মতি নেই স্ত্রীর। তারপরও স্বামী যদি তাঁর সঙ্গে অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত হন, তাহলেও তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই বলল ছত্তীসগঢ় হাইকোর্ট। আদালত জানিয়ে দিল, স্ত্রী যদি প্রাপ্তবয়স্ক হন, তবে তাঁর সঙ্গে স্বামীর অস্বাভাবিক যৌনতা অপরাধের মধ্যে পড়ে না।
২০১৭ সালের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছেন ছত্তীসগঢ় হাইকোর্টের বিচারপতি নরেন্দ্র কুমার ব্যাস। বছর আটেক আগে জগদলপুরের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি স্ত্রীর সঙ্গে অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিলেন। এরপর তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর আগে ওই মহিলা জানান, তাঁর স্বামী অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত হওয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরা জানান, ওই মহিলার মলদ্বারে ক্ষত ছিল।
ওই মহিলার মৃত্যুর পর তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেইসময় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৭৭ (অস্বাভাবিক যৌনতা) এবং ৩০৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়। বাস্তারের নিম্ন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ছত্তীসগঢ় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
সেই মামলাতেই হাইকোর্ট জানাল, বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। হাইকোর্ট জানিয়েছে, স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের কম না হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেকোনও ধরনের যৌনতাকে ধর্ষণ হিসেবে ধরা হবে না। গত বছরের ১৯ নভেম্বর মামলার রায় স্থগিত রেখেছিল ছত্তীসগঢ় হাইকোর্ট। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।