AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR in UP: এসআইআর পর্বে এই প্রথম FIR, কাঠগড়ায় গোটা পরিবার

Special Intensive Revision: কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? রামপুরের জেলাশাসক অজয় কুমার দ্বিবেদী জানিয়েছেন, দুই ছেলে বিদেশে থাকেন, তারপরেও এদের মা নূরজাহান তাঁর দুই সন্তানের ভুয়ো তথ্য দিয়ে এসআইআর ফর্ম পূরণ করেছিলেন। এমনকি, সই জাল করতেও পিছুপা হননি তিনি।

SIR in UP: এসআইআর পর্বে এই প্রথম FIR, কাঠগড়ায় গোটা পরিবার
প্রতীকী ছবিImage Credit: PTI
| Updated on: Dec 07, 2025 | 4:41 PM
Share

লখনউ: ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন পর্বে এই প্রথম কোনও ভোটারের বিরুদ্ধে রুজু হল এফআইআর। ভুয়ো নথিপত্র দেওয়ার অভিযোগে এক পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল যোগী প্রশাসন। এসআইআর শুরু হতেই সমঝে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা এবং ভুয়ো ভোটারদের কোনও ভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই হুঁশিয়ারিকে বাস্তবে পরিণত করল উত্তর প্রদেশ প্রশাসন।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের রামপুর থানায় সুপারভাইজ়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতার ৩১ নং ধারায় এক পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই তিন অভিযুক্ত রামপুরের বাসিন্দা। নাম নূরজাহান, আমির খান এবং দানিশ খান। বলে রাখা প্রয়োজন, এই আমির ও দানিশ নূরজাহানের পুত্র। দু’জনেই কর্মসূত্রে যথাক্রমে দুবাই এবং কুয়েতে থাকেন।

কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? রামপুরের জেলাশাসক অজয় কুমার দ্বিবেদী জানিয়েছেন, দুই ছেলে বিদেশে থাকেন, তারপরেও এদের মা নূরজাহান তাঁর দুই সন্তানের ভুয়ো তথ্য দিয়ে এসআইআর ফর্ম পূরণ করেছিলেন। এমনকি, সই জাল করতেও পিছুপা হননি তিনি। সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলও-ই ফর্মটি ডিজিটাইজেশনের সময় এই অসঙ্গতি চিহ্নিত করেছেন। জেলাশাসকের কথায়, ‘ভুয়ো তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ অপরাধ তূল্য। নির্বাচনী নিয়মকে তীব্রভাবে লঙ্ঘন করছে।’ তবে এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা হবে, তা এখনও জানায়নি প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, নভেম্বর শুরু থেকে একযোগে দেশের ৯টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ শুরু হয়। বেশির ভাগ জায়গাতেই কাজ শেষ বললেই চলে। উত্তর প্রদেশেও ৯৯ শতাংশেরও বেশি ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছে। তবে ডিজিটাইজেশনের কাজে এখনও পিছিয়ে যোগীরাজ্য। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৯৪ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে।