
লখনউ: স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন ও হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হলেন উত্তরপ্রদেশের এক যুবক। অতুল সুভাষের ঘটনার পর আরও একবার প্রশ্নের মুখে দাম্পত্যে কলহের পরিণতি। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের ইতয়া এলাকার। মৃতের নাম মোহিত যাদব। বৃহস্পতিবার ওই এলাকারই এক হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছে তার দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থাতেই কাজ করতেন মোহিত। আত্মহত্যা করার আগে ফোনে একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করে যান তিনি। যেখানে নিজের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন মোহিত।
তার ভিডিয়োবার্তায় শোনা যায়, মাস দুয়েক আগে তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন বিহারের একটি স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পায়। সেই সময় মোহিতের স্ত্রীকে চাপ দিয়ে গর্ভপাত করান তার শাশুড়ি। এমনকি, মেয়ের সমস্ত গয়না-গাটি নিজের কাছেই রেখে দিতেন তার মা, অভিযোগ মোহিতের। কিন্তু এই সব নিয়ে যখন যুবক সরব হন, তখনই তাকে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিত তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির।
ভিডিয়োবার্তায় মোহিতের আরও অভিযোগ, স্ত্রীয়ের নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য তাকে বারংবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল শ্বশুরবাড়ি থেকে। এমনকি, রাজি না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সাত বছরের প্রেমের পর ২০২৩ সালে বিয়ে করেছিলেন মোহিত। কিন্তু তার জীবনে সেটাই যেন আজ কাল হল, দাবি পরিবারের। নিজের ভিডিয়োবার্তায় মোহিত পুলিশ-প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যতক্ষণে এই ভিডিয়ো আমার পরিবারের কাছে পৌঁছবে, ততক্ষণে আমি আর থাকব না। আজ দেশে পুরুষদের জন্য় আইন থাকলে, আমার এই পরিণতি হত না। মা-বাবার কাছে আর্জি করব, বিচার না পেলে আমার চিতাভস্ম নালায় ফেলে দিও।’