Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অ্যাম্বুল্যান্সটাও জুটল না, টোটোতেই মেয়ের নিথর দেহ আঁকড়ে নিয়ে গেলেন বিজেপি কাউন্সিলর

BJP Councilor: দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অপেক্ষা করেও পাওয়া যায়নি, তখন কাউন্সিলর তাঁর মেয়ের মৃতদেহ ই-রিকশায় করে বাড়িতে নিয়ে যান। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ছবি।

অ্যাম্বুল্যান্সটাও জুটল না, টোটোতেই মেয়ের নিথর দেহ আঁকড়ে নিয়ে গেলেন বিজেপি কাউন্সিলর
টোটোতেই মেয়ের তদেহ নিয়ে যেতে হল।Image Credit source: TV9 ভারতবর্ষ
Follow Us:
| Updated on: Mar 20, 2025 | 7:54 AM

লখনউ: আদরের একমাত্র মেয়ে। পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর চোট পাওয়ায় নিয়ে এসেছিলেন হাসপাতালে। এমনই দুর্ভাগ্য যে মেয়েকে বাঁচাতে পারলেনই না, তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্যও একটা শববাহী গাড়ি বা অ্য়াম্বুল্য়ান্স পেলেন না। বাধ্য হয়ে ই-রিকশায় মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে গেলেন বিজেপি কাউন্সিলর।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদে। সেখানের এক বিজেপি কাউন্সিলর তাঁর মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য শববাহী যান পাননি। দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অপেক্ষা করেও পাওয়া যায়নি, তখন কাউন্সিলর তাঁর মেয়ের মৃতদেহ ই-রিকশায় করে বাড়িতে নিয়ে যান। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ছবি। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগের কোনও কর্মকর্তা এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন।

উত্তর প্রদেশের সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল, ট্রমা সেন্টার এবং জেলা হাসপাতালে, যদি কোনও রোগী অসুস্থতা বা অন্য কোনও ঘটনার কারণে মারা যাযন, তাহলে তাঁর মৃতদেহ বহন করার জন্য অন্তত একটি সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ফিরোজাবাদের সরকারি ট্রমা সেন্টার এবং মেডিকেল কলেজের বাস্তবতা অন্য কথা বলছে।

কর্পোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর ধর্মপাল রাঠোরের ১২ বছরের মেয়ে খুশি বাড়িতে খেলতে খেলতে পড়ে যায়। তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লাগে। ফিরোজাবাদের সরকারি ট্রমা সেন্টারে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কাউন্সিলর তাঁর মেয়ের শবদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন। দেখতে দেখতে প্রায় এক ঘন্টা সময় নষ্ট করে ফেলেন।  নিরুপায় হয়েই বিজেপি কাউন্সিলর টোটোয় করে মেয়ের দেহ নিয়ে যান।