Vaccine for Children: শীঘ্রই শিশুদের জন্য করোনা টিকা আনছে সেরাম ইনস্টিটিউট
Adar Poonawalla: এখনও পর্যন্ত নোভাভ্যাক্সের টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তিন বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে ভাল ফল দিয়েছে।
নয়া দিল্লি : ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্য়েই দেশে দাঁত-নখ বের করতে শুরু করেছে। একাধিক রাজ্য থেকে ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। তবে এরই মধ্য়ে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য করোনা টিকা নিয়ে আসতে চলেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। আজ এই কথা জানিয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। করোনা ভাইরাসের টিকা নোভাভ্যাক্সকে শিশুদের টিকাকরণের জন্য বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে সেরাম ইন্সটিটিউট।
এখনও পর্যন্ত নোভাভ্যাক্সের টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তিন বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে ভাল ফল দিয়েছে। মঙ্গলবার কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির এক বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন আদর পুনাওয়ালা।
এখনই চিন্তার কিছু নেই, মত পুনাওয়ালার
সংবাদ সংস্থা পিটিআই পুনাওয়ালাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘আমরা শিশুদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতা দেখিনি। শিশুদের নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। তবে আমরা ছয় মাসের মধ্যে তাদের জন্য একটি ভ্যাকসিন চালু করব। আশা করা হচ্ছে এই ভ্যাকসিন তিন বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য পাওয়া যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। ভ্যাকসিনটি তিন বছর বয়স পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই চমৎকার তথ্য দেখিয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে টিকাটি চালু করা হবে।আপনাদের জানিয়ে রাখি যে বিশ্বের অনেক দেশেই শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
শিশুদের টিকাকরণে কোনও ক্ষতি নেই
সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও শিশুদের টিকা দেওয়ার পক্ষে কথা বলেন। তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি মনে করি আপনার শিশুদের টিকা দেওয়া উচিত। এতে কোনও ক্ষতি নেই, এই ভ্যাকসিনগুলি নিরাপদ এবং কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। শুধু সরকারের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে এবং তারপরে এই বিষয়ে এগোনো যেতে পারে।” ভারতে বেশ কয়েকটি ধাপে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। প্রথম ধাপের টিকা শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি। এর আওতায় স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হয়।”
অনুমোদন পেয়েছে জ়াইকোভ-ডি
ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) দ্বারা অনুমোদিত একটিমাত্র ভ্যাকসিন রয়েছে যা ১২ বছরের বেশি বয়সিদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ভ্যাকসিনটি হল আহমেদাবাদে অবস্থিত জ়াইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) তৈরি জ়াইকোভ-ডি (ZyCoV-D) ভ্যাকসিন। তবে এখন পর্যন্ত দেশের টিকাকরণ অভিযানে এই ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। DCGI-এর বিশেষজ্ঞ প্যানেল হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড থেকে ১২-১৮ বছর বয়সিদের জন্য কোভ্যাকসিনের সুপারিশ করেছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে জানিয়েছে যে ‘চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে কোম্পানির কাছ থেকে অতিরিক্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে’।