Video: ৫ ঘণ্টা ধরে পুকুরে ভাসছিল ‘লাশ’, কিন্তু পুলিশ আসতেই যা হল…

Viral video: গরমের দুপুরে, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে পুকুরে ভাসছিল একটা 'লাশ'। গায়ে জামা নেই, পরনে ছিল শুধুই জিনস। আর এই লাশকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল তেলঙ্গানার ওয়ারঙ্গল জেলায়। কিন্তু, পুলিশ এসে লাশটিকে উদ্ধার করতে যেতেই যা ঘটল, না দেখলে বিশ্বাস হবে না।

Video: ৫ ঘণ্টা ধরে পুকুরে ভাসছিল 'লাশ', কিন্তু পুলিশ আসতেই যা হল...
'লাশ' তুলতে এল পুলিশ...Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jun 14, 2024 | 7:35 PM

হায়দরাবাদ: গরমের দুপুরে, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে পুকুরে ভাসছিল একটা ‘লাশ’। গায়ে জামা নেই, পরনে ছিল শুধুই জিনস। আর এই লাশকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল তেলঙ্গানার ওয়ারঙ্গল জেলার হানুমাকোন্ডার রেড্ডিপুরম কোভেলকুন্তায়। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দিয়েছিলেন কাকাতিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থানার পুলিশকে। লাশ পানিতে ভাসার খবর পেয়ে ছুটে এসেছিল পুলিশ। এরপর, হাত ধরে চেনে লাশটিকে পাড়ে আনার চেষ্টা করেছিল তারা। আর তারপরই যা ঘটেছে, তাতে হতবাক হয়ে যান স্থানীয় মানুষ। পুলিশ টানতেই, উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে লাশ। না, কোনও ভৌতিক ঘটনা নয়। যাঁকে লাশ বলে মনে করেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা, তিনি আসলে জীবিতই ছিলেন। পুলিশকে ওই ব্যক্তি জানিয়েছিল, পুকুরের জলে ভেসে থেকে তিনি একটু ঠান্ডা হচ্ছিলেন!

ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুকুরের পাড় থেকে একটু দূরেই জলের মধ্যে ভাসছে দেহটি। জলের নীচে রয়েছে তার গোটা দেহ। জলের উপরে ভেসে আছে শুধু তাঁর মাথা। এক পুলিশ কর্মীকে দেখা যায়, অপর এক পুলিশকর্মীর সহায়তায় দেহটিকে জল থেকে তোলার চেষ্টা করতে। এমনকি হাত ধরে টানার সময়ও ওই পুলিশ কর্মী বুঝতে পারেননি যে, ওই ব্যক্তি জীবিত। তবে, ডাঙায় আনার পরই ওই ব্যক্তি উঠে বসেন। জল থেকে তোলার পর, তাঁকে দেখা যায় মুখে জলের ঝাপটা দিতে।

পুলিশ জানিয়েছে, তিনি নেলোর জেলার বাসিন্দা। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাকে নিশ্চল অবস্থায় পুকুরের জলে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ধরেই নিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, পুলিশ এবং জরুরী পরিষেবা বিভাগের কর্মীরা এসে লাশ তুলতে যেতেই জানা যায়, তিনি দিব্বি বেঁচেবর্তে আছেন। কিন্তু, কেন তিনি অত দীর্ঘক্ষণ ধরে নিশ্চল অবস্থায় জলে ভেসেছিলেন?

পুলিশকে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি স্থানীয় গ্রানাইট পাথরের খনিতে খনি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেখানে গত ১০ দিন ধরে প্রখর রোদে প্রতিদিন ১২ ঘন্টা করে কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিশ্রাম নিতে এবং একটু ঠান্ডা হতেই তিনি পুকুরে নেমেছিলেন। জলে ভেসে থাকার ক্ষমতা আছে তাঁর। সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জলে ভেসে ছিলেন। আর তাতেই রজ্জুতে সর্পভ্রম হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।