Election Commission on Voter List: ভোটার তালিকায় নথি জমা নিয়ে ‘ছাড়’ দিল কমিশন

Election Commission on Voter List: বিহারের বর্তমানে মোট ভোটারের সংখ্যা ৮ কোটি। শেষবার কমিশনের দ্বারা এই নিবিড় সমীক্ষা হওয়ার সময় ভোটার সংখ্য়া ছিল মোট ৪.৯৬ কোটি। যা বর্তমানে এসে ঠেকেছে প্রায় দ্বিগুণ।

Election Commission on Voter List: ভোটার তালিকায় নথি জমা নিয়ে ছাড় দিল কমিশন
নির্বাচন কমিশনImage Credit source: Facebook

|

Jun 30, 2025 | 6:59 PM

পটনা: বিহারে নির্বাচনের প্রাক্কালে সেখানে ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা করার কথা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। যা ঘিরে এখন তুঙ্গে বিবাদ। সবার প্রথমেই সরব হয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রশ্ন তুলেছিলেন, বাংলায় প্রয়োগের আগেই টেস্ট ড্রাইভ চলছে কিনা? প্রশ্ন তোলেন এই নিবিড় সমীক্ষা ঘুরপথে NRC আনার মাধ্যম কিনা?

মমতা সরব হতেই, সরব হয় বিহারের বিরোধী শিবিরও। একই সুরে অভিযোগ তোলে তারা। তারপরই সোমবার তাদের জারি করা নির্দেশিকায় একগুচ্ছ বদল আনল নির্বাচন কমিশন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে,

  • বিহারের ২০০৩ সালে ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে মোট ৪.৯৬ কোটি ভোটারের নথি-বিবরণ রয়েছে।
  • ২০০৩ সালের এই ভোটার তালিকা প্রকাশের ফলে নিবিড় সমীক্ষার কাজ আরও সহজ হবে। আগে যেখানে ৮ কোটি ভোটারের তথ্য যাচাই করতে হত, এখন তা প্রায় ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
  • ওয়েবাসাইটে প্রকাশিত ৪.৯ কোটি ভোটারকে আরও কোনও রকম পরিচয়পত্র বা নথি জমা দিতে হবে না।
  • তবে যে সকল ভোটারের নাম সেই তালিকায় নেই। তারা তাদের বাবা কিংবা মায়ের পরিচয়পত্র অন্য কোনও নথির পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারবেন।

বিহারের বর্তমানে মোট ভোটারের সংখ্যা ৮ কোটি। শেষবার কমিশনের দ্বারা এই নিবিড় সমীক্ষা হওয়ার সময় ভোটার সংখ্য়া ছিল মোট ৪.৯৬ কোটি। যা বর্তমানে এসে ঠেকেছে প্রায় দ্বিগুণ। এদিন কমিশন সাফ জানিয়েছে, ২০০৩ সালের তালিকায় ৪.৯৬ কোটি ভোটারের নথি-বিবরণ মিলেছে। তাই তাদের আর কোনও আলাদা ভাবে নথি জমা দিতে হবে না। এমনকি, এই ৪.৯৬ কোটি ভোটারের সন্তানদের তাদের বাবা-মা সংক্রান্ত নথি ছাড়া আর কোনও কিছু জমা না দিলেও চলবে।

উল্লেখ্য, প্রথম দিতে কমিশনের পদক্ষেপ নিয়ে আপত্তি তোলেন মমতা। স্পষ্ট বলেন, কীভাবে সকলের পক্ষে তাদের বাবা-মায়ের জন্ম তারিখের শংসাপত্র জমা দেওয়া সম্ভব? কয়েক দশক আগেও জন্মের শংসাপত্র করানোর জন্য বাড়ি বাড়ি আবেদন করতে হত প্রশাসককে। এই পরিস্থিতিতে এত পুরনো শংসাপত্র পাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

এবার সেই নথির জট অবশেষে কাটাল কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাফ করল, ১৯৮৭ সালের পর যাদের জন্ম, তাদের বাবা-মায়ের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় থাকলে, আলাদা কোনও নথির প্রয়োজন হবে না।