
নয়াদিল্লি: দূষণ মুক্ত পরিবেশ দেওয়া যাচ্ছে না, এদিকে ভরে ভরে জিএসটি! কেন্দ্রের দিকে এই সুরেই তোপ দাগল দিল্লি হাইকোর্ট। রাজধানীর বাতাসে যে হারে বিষ মিশছে, তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন দিল্লির উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিও। বুধবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রকে ‘এয়ার পিউরিফায়ারে’ চাপানো ১৮ শতাংশ জিএসটি কমানোর নির্দেশ দিল দিল্লির উচ্চ আদালত। এমনকি, তাঁরা যদি তা না করতে পারে, সেই মর্মেও ব্যাখ্যা দিতে বলল ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেডেলার বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল। এয়ার পিউরিফায়ারকে ‘মেডিক্যাল সরঞ্জামের’ আওতায় ফেলার এবং জিএসটি কমানোর জন্য দায়ের হয়েছিল মামলা। তাতে যুক্তি-তর্কের পর্বে উঠে এল দিল্লির দূষণের কথা।
মামলাকারীর যুক্তি, এই রকম ‘ভয়াবহ পরিস্থিতিতে’ এয়ার পিউরিফায়ারকে কখনওই ‘বিলাসবহুল সামগ্রী’ হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে না। প্রতিটি মানুষের নিজের স্বাস্থ্য এবং বেঁচে থাকার স্বার্থে ঘরের বায়ু পরিশুদ্ধ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। মামলাকারীর যুক্তি শোনার পর আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘প্রতিটি মানুষের দূষণমুক্ত পরিশুদ্ধ পরিবেশে থাকার অধিকার রয়েছে।’
এদিন এজলাসে উপস্থিত কেন্দ্রের সওয়ালকারীর উদ্দেশে বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘যখন আপনারা ন্যূনতম দূষণমুক্ত পরিবেশ প্রদান করতে পারবেন না। তা হলে অন্তত জিএসটিটা কমান। একেবারের মতো কমাতে না পড়লে, অন্তত ১৫ দিনের জন্য জিএসটিতে ছাড় দিন। পাশাপাশি আমাদের জানান, আপনারা কতক্ষণে এই কাজ করতে পারবেন।’ প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা গোটা দিনে কতবার নিঃশ্বাস নিয়ে থাকি জানেন? ২১ হাজার বার। এবার ভাবুন মানুষ এই ২১ হাজার বার নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেদের কতটা ক্ষতি করছে!’