নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দেশজুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর জারি। কেন্দ্রের শাসকদল বলছে, সিএএ-র ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। আর বিরোধীরা বলছে, নাগরিকত্ব আইনে ভিটে-মাটি ছাড়া হবে অনেকে। এই চাপানউতোরের মধ্যেই সোমবার সিএএ কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সিএএ কার্যকর করার মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে এনআরসি (ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস) নিয়ে। আসলে, বিরোধীরা সিএএ-কে পৃথকভাবে দেখতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি আইন এবং সিএএ আসলে একই আইনের দুটি ধাপ। আদপে সিএএ এবং এনআরসি-র মধ্যে কি কোনও যোগসূত্র রয়েছে? CAA কী এবং NRC কী? কী তাদের পার্থক্য?
২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় সিএএ। এই আইনে ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ। আর ওই তিনটি দেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও পার্সিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে CAA-র মাধ্যমে। এক্ষেত্রে শর্ত হল, তাঁদের অন্তত পাঁচ বছর ধরে ভারতে বসবাস করতে হবে। তাহলেই তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাঁরা ভারতীয় নাগরিক, তাঁদের জন্য সিএএ নয়। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে, প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু বিদেশি নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি হল ভারতের কোনও রাজ্যে বসবাসকারী প্রকৃত নাগরিকদের খতিয়ান। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে প্রকৃত ভারতীয়দের নাম নিবন্ধন করা হয় এবং জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। অসম ছাড়া ভারতের আর কোনও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এনআরসি কার্যকর হয়নি।
সিএএ ও এনআরসি-র মধ্যে আসলে কোনও যোগই নেই। সিএএ হল তিন দেশ থেকে আসা ৬ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া। ভারতীয় নাগরিকদের উপর এর কোনও প্রভাবই নেই। আর এনআরসি হল প্রকৃত ভারতীয়দের খতিয়ান।