Jan Suraj Failed to Mark: বিহার থাকল বিহারেই! ধোপেও টিকল না পিকের রোটি-কাপড়া-মাকান

Bihar Election 2025 Results: প্রাথমিক লিডে ২টি আসনে এগিয়ে ছিল প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি। কিন্তু বেলা গড়াতেই ঘুরেছে খেলা। ২ কেটে নেমে গিয়েছে শূন্যে। যে প্রশান্ত কিশোরে পদযাত্রায় দেখা গিয়েছিল জনসমুদ্র। ভোটের ব্যালটে সেই পিকের দলে সাক্ষী থাকল হাহাকারের। এ যেন নির্বাচনী-দুর্ভিক্ষ। বিকল্প হওয়ার স্বপ্নপূরণ হল না প্রশান্ত কিশোরের।

Jan Suraj Failed to Mark: বিহার থাকল বিহারেই! ধোপেও টিকল না পিকের রোটি-কাপড়া-মাকান
প্রশান্ত কিশোর Image Credit source: PTI

|

Nov 14, 2025 | 4:11 PM

পটনা: দাগ কাটতে পারলেন না পিকে? বিহারের মানুষ কি তাঁকে এখনই সুযোগ দিতে চায় না? মগধভূমের হাই ভোল্টেজ ভোটে এখনও কোনও নজির তৈরি করতে পারল না প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি। বুথ ফেরত সমীক্ষা আগেই বলেই দিয়েছিল, বিধানসভা নির্বাচনে নিজের পায়ের ছাপ ফেলতে পারবেন না পিকে। হাওয়া ঘুরছে সেই দিকেই। পিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।

প্রাথমিক লিডে ২টি আসনে এগিয়ে ছিল প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি। কিন্তু বেলা গড়াতেই ঘুরেছে খেলা। ২ কেটে নেমে গিয়েছে শূন্যে। যে প্রশান্ত কিশোরে পদযাত্রায় দেখা গিয়েছিল জনসমুদ্র। ভোটের ব্যালটে সেই পিকের দলে সাক্ষী থাকল হাহাকারের। এ যেন নির্বাচনী-দুর্ভিক্ষ। বিকল্প হওয়ার স্বপ্নপূরণ হল না প্রশান্ত কিশোরের। প্রচার পর্বে একটা কথা বেশ শোনা যেত তাঁর মুখে। তা হল, মানুষ তাঁর কথা বুঝলে, ভোটের লড়াইয়ে তিনি ‘টপ’ করবেন। তা হলে কি সেই বোঝা এবং বোঝানোর জায়গাতেই কোনও খামতি থেকে গেল?

কী বলেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষা?

বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২৩৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল জন সুরাজ পার্টি। বুথ ফেরত সমীক্ষায় ‘অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া’ বলেছিল, সর্বাধিক ২টি আসন পেতে পারে তাঁরা। ‘ভোট ভাইব’ বলেছিল, একই কথা। কিন্তু দৈনিক ভাষ্করের অনুমান ছিল শূন্য। একই কথা ‘টুডে চাণক্য’রও। তেমনটাই হল। শূন্য়েই ভাসল পিকের দল। নির্বাচনী যুদ্ধে দলকে এগিয়ে দিয়ে প্রশান্তের না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তই কি বিপাকে ফেলল? নাকি জন সুরাজ এখনও সময় দিতে চায় বিহারবাসী?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘জন সুরাজ পার্টির জেতা-হারা কিছুতেই যায় আসে না। বরং ওরা আসলেই মানুষের মনে এবারের নির্বাচনে একটা প্রভাব তৈরি করে গেল। ভোটারের নির্বাচনী অভিমুখও খানিকটা ঘোরাল।’ শুধু তাই নয়, বিহারের একটা বড় অংশ, পরিসংখ্য়ানের দিক থেকে ৯০ শতাংশ জনগণ অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির অন্তর্গত। যে অংশে বরাবর দাঁত ফুটিয়েছেন নীতীশ কুমার। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই ইবিসি ভোটার বা অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির ভোটব্যাঙ্ককে গুরুত্ব দেননি পিকে। যার ফলাফলও পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, জাত ভিত্তিক ভোটের রাজনীতিকেও এড়িয়ে গিয়েছিলেন পিকে। কেউ কেউ বলছেন, সেখানেও গড়বড় হয়ে গিয়েছে। বিহার থেকে বিহারে। ছিটকে গিয়েছেন পিকে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে বারংবার ফিরে-ফিরে এসেছিল দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের কথা। কেউ কেউ বলছিলেন, পিকে হয়তো বিহারের কেজরীবাল হতে পারেন। তবে সেই তত্ত্বও আপাতত খারিজ হয়ে গেল।