
নয়া দিল্লি: অপারেশন সিঁদুরে বদলা নিয়েছে ভারত। পহেলগাঁওয়ের উপত্যকায় একাধিক হিন্দু মহিলার সিঁদুর মুছিয়ে দিয়ে গিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। তারই বদলা নেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার রাতে। আর বুধবার সকালে সেই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিলেন দুই মহিলা অফিসার। একজন উইং কমান্ডার ভোমিকা সিং, অপরজন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।
বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির বক্তব্যের পর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এদিন তুলে ধরেন, ঠিক কোন কোন জায়গায় গিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি কে?
বয়স ৩৫। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি গুজরাটের বাসিন্দা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কর্পসের একজন অফিসার তিনি। ১৯৯৯ সালে অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে উত্তীর্ণ হন তিনি। তিনি কাউন্টার ইনসার্জেন্সি সহ বিভিন্ন অভিযানে অংশ নিয়েছেন তিনি।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে সোফিয়ার সম্পর্ক বহু প্রজন্মের। তাঁর দাদা এবং বাবা দুজনেই সেনাবাহিনীতে ছিলেন। ২০০৬ সালে, তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে কঙ্গোতে নিযুক্ত ছিলেন।
২০১৬ সালে রেকর্ড গড়েন সোফিয়া কুরেশি। তখন তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। সেই সময় ‘এক্সারসাইজ ফোর্স ১৮’-এ ভারতের ৪০ সদস্যের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দেন তিনি। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা অফিসার হিসেবে কোনও বহুজাতিক সামরিক মহড়ায় সেনাবাহিনীর একটি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই মহড়াটি কেবল ভারতের বৃহত্তম বহুজাতিক সামরিক মহড়াই ছিল না, ১৮টি দেশের সেনাবাহিনী সেখানে অংশগ্রহণ করেছিল। এশিয়ার দেশগুলি ছাড়াও সেই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল জাপান, আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলি।