K Parasaran: কোর্টরুমে সওয়াল করেছিলেন রামলালার আইনজীবী হিসেবে, কে এই পরাসরন?
Ram Lalla's Lawyer K Parasaran: কোর্টরুমে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের লাইন উদ্ধৃত করতেন তিনি। তাই তাঁকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কল 'বারের পিতামহ' বলে সম্বোধন করতেন। বিচারপতি বলতেন, পরাসরন এমন একজন আইনজীবী যিনি নিজের ধর্মের পথ থেকে সরে যাননি কখনও।
নয়া দিল্লি: গত সোমবার সব রীতি মেনে রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল রামলালার। বহু মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর তৈরি হয়েছে এই মন্দির। বিতর্ক ছিল কয়েকশ বছর ধরে। তবে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পরই শুরু হয় রাম মন্দির তৈরির তোড়জোড়। কার্যত দিন-রাত কাজ করে তৈরি করা হয় মন্দির। অবেশেষে সেই মন্দির খুলে দেওয়া হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য। তবে এই মন্দিরের পিছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, বহু অজানা গল্প, বহু মানুষের অবদান। তেমনই একজন কে পরাসরন। পেশায় আইনজীবী এই ব্যক্তিকে রাম মন্দিরের উদ্বোধনেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অযোধ্য়া মামলায় রামের পক্ষ সওয়াল করেছিলেন এই আইনজীবী।
তামিলনাড়ুর শ্রীরঙ্গমে জন্ম কে পরাসরনের। তাঁর বাবাও ছিলেন একজমন আইনজীবী। তাঁর পরিবার বরাবরই ধার্মিক বলেই পরিচিত। ১৯৫৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন পরাসরন। পরবর্তীতে তিনি তামিলনাড়ুর অ্যাটর্নি জেনারেল কাজ করেন। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পরাসরন ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
সবরীমালা মন্দিরের মামলা লড়েছেন পরাসরন। নায়ার সার্ভিস সোসাইটি, যারা চেয়েছিল ঋতুমতী মহিলারা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাঁদের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন পরাসরন। তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল অযোধ্যা মামলা। এই মামলায় রামলালার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, জমি বিতর্ক সংক্রান্ত ওই মামলায় রাম ছিল পার্টি।
কোর্টরুমে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের লাইন উদ্ধৃত করতেন তিনি। তাই তাঁকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কল ‘বারের পিতামহ’ বলে সম্বোধন করতেন। বিচারপতি বলতেন, পরাসরন এমন একজন আইনজীবী যিনি নিজের ধর্মের পথ থেকে সরে যাননি কখনও।
২০০৩ সালে পরাসরন পদ্ম বিভূষণ ও ২০১১ সালে পদ্মভূষণ সম্মান পান। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে যে কমিটি কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছিলেন রাম মন্দির নির্মাণের জন্য, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন পরাসরন।