
নয়া দিল্লি: আহমেবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক মুহূর্ত পরই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। গত ১২ জুন সেই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। অবশেষে সামনে এল সেই দুর্ঘটনার একটি প্রাথমিক রিপোর্ট। AAIB-র সেই রিপোর্ট ইঞ্জিনের সমস্যার কথা উল্লেখ রয়েছে। সেই বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানের ককপিটে সেদিন পাইলট ও কো-পাইলটে মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিল, সামনে এল সেই তথ্যও।
ককপিটের ভয়েস রেকর্ডার থেকে উঠে এসেছে ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল ও ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দরের কথোকথন। শোনা যাচ্ছে এক পাইলট অপরজনকে বলছেন, ‘ফুয়েল কাট অফ করলে কেন?’ উত্তরে অপরজন বলছেন, ‘আমি তো করিনি।’
ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ার ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগেই এই কথোপকথন শোনা গিয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ। রিপোর্টে উঠে এসেছে, ইঞ্জিনের ফুয়েলের সুইচ কাট অফ বা বন্ধ হয়ে যায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই। ফলে, ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়ে ভেঙে পড়ে বিমান।
গত ১২ জুন বিমানটি ভেঙে পড়ে বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে। ঘটনায় ওই কলেজের একাধিক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়, আহত হন অনেকে। একজন যাত্রী বাদে বিমানের আর কেউ বাঁচেননি। ইতিমধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে মৃত যাত্রীদের পরিবারকে।