নয়া দিল্লি: দেশের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের সর্বোচ্চ সম্মান দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিং। এছাড়া ভারতরত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী ডঃ এমএস স্বামীনাথন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। ভারতরত্ন প্রাপক এই তিনজনের মধ্যে মিল কোথায় জানেন?
সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবাণী ও কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই এবার আরও তিনজনকে ভারতরত্নে সম্মানিত করার ঘোষণা করা হল। এদের মধ্যে দুইজনই আবার দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তবে এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণও।
এ দিন প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ঘোষণায় যেমন পিভি নরসিমহা রাওয়ের দূরদর্শিতার প্রশংসা করেছেন, তেমনই চৌধুরি চরণ সিং ও ডঃ এমএস স্বামীনাথনের কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের উল্লেখ করেছেন। কেন্দ্রের এই ঘোষণা একদিক থেকে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারই প্রতিফলন।
রাষ্ট্রীয় নেতাদের, দেশের উন্নয়নে যাদের অবদান অনস্বীকার্য, তাদেরই সম্মানিত করেছে মোদী সরকার। এরমধ্যে দল বা রাজনীতির ভেদাভেদ করেনি মোদী সরকার। নরসিমহা রাও ও চৌধুরি চরণ সিং, মরণোত্তর ভারতরত্ন পুরস্কার প্রাপক দুই নেতারই বিজেপির সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না। তারপরও এই সিদ্ধান্তের কারণ হল প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্বাস করেন জাতীয় সম্মান রাজনীতি বা দলের ঊর্ধ্বে।
দক্ষিণ ভারত অবহেলিত। এই অভিযোগ করেন অনেকে। দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে হোক বা পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে দক্ষিণ ভারতের অবদান কিছুটা উপেক্ষিত হলেও, মোদী সরকার ঠিক উল্টো পথেই হেঁটেছেন। ভারতরত্ন প্রাপক নরসিমহা রাও ও ডঃ এমএস স্বামীনাথন, দুইজনই দক্ষিণ ভারতের। দেশের প্রতিটি প্রান্তকে একসূত্রে বাঁধার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।