Financial assistance: ব্যভিচারে লিপ্ত স্ত্রী খোরপোশ পাওয়ার যোগ্য নন, বড় নির্দেশ আদালতের

Plea seeking financial assistance: বিচারক নমরিতা আগরওয়াল মহিলার খোরপোশের আবেদন খারিজ করতে গিয়ে বলেন, "সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করেননি মহিলা। তার মানে তিনি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে থাকার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন।"

Financial assistance: ব্যভিচারে লিপ্ত স্ত্রী খোরপোশ পাওয়ার যোগ্য নন, বড় নির্দেশ আদালতের
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Meta AI

Sep 06, 2025 | 8:05 PM

নয়াদিল্লি: স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। বিচ্ছেদের পর খোরপোশের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মহিলা। কিন্তু, মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিবাহিত থাকা অবস্থায় অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এমনকি, তাঁর সন্তানের পিতাও তাঁর স্বামী নন। ব্যভিচারের অভিযোগ নিয়ে মহিলা পাল্টা কোনও যুক্তি তুলে ধরতে পারেননি। তারপরই মহিলার খোরপোশের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। জানিয়ে দিল, ব্যভিচারে লিপ্ত স্ত্রী খোরপোশ পাওয়ার যোগ্য নন।

দিল্লির একটি পারিবারিক আদালতের বিচারক নমরিতা আগরওয়াল ওই মহিলার আবেদন শুনছিলেন। অন্য একটি আদালত মে মাসে ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করে। বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দিতে গিয়ে আদালত জানিয়েছিল, বিবাহিত থাকা অবস্থায় মহিলা অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। ফলে স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না। পাশাপাশি ওই দম্পতির সন্তানদের ডিএনএ পরীক্ষার পর দেখা যায়, এক সন্তানের মা ওই মহিলা হলেও জন্মদাতা পিতা তাঁর স্বামী নন।

বিচারক নমরিতা আগরওয়াল মহিলার খোরপোশের আবেদন খারিজ করতে গিয়ে বলেন, “সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করেননি মহিলা। তার মানে তিনি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে থাকার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন।” তাছাড়া ওই মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। তারপর তিনি ছাড়া পান। কিন্তু, সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা চলছে।

এরপরই বিচারক নমরিতা আগরওয়াল বলেন, “বিভিন্ন সাক্ষ্য ও পূর্ববর্তী আদালতের রায় থেকে এটা স্পষ্ট যে মহিলা অন্য সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। ফলে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২৫(৪) ধারা অনুসারে, ব্যভিচারে লিপ্ত মহিলা স্বামী কাছ থেকে খোরপোশ চাইতে পারেন না।” একইসঙ্গে আদালত বলে, মহিলা অন্য ব্যক্তির সঙ্গে বাস করতেন। বিভিন্ন সম্পত্তি থেকে আয় করতেন। এছাড়া তাঁর স্বামীই সন্তানদের ব্যয় বহন করেছেন।