Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Adultery Law in India: পরপুরুষের সঙ্গে স্ত্রীয়ের প্রেম থাকলেও, তা পরকীয়া নয়! বেনজির পর্যবেক্ষণ আদালতের

Adultery Law in India: মামলাকারীর সেই দাবির ভিত্তিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যেখানে সেই টাকায় তিনি নিজের প্রয়োজন মেটাতেই অক্ষম। সেখানে দাঁড়িয়ে কেন তিনি বিয়ে করেছিলেন? তাই অক্ষমতা থাকলেও স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব তাকে নিতে হবেই।

Adultery Law in India: পরপুরুষের সঙ্গে স্ত্রীয়ের প্রেম থাকলেও, তা পরকীয়া নয়! বেনজির পর্যবেক্ষণ আদালতের
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image
Follow Us:
| Updated on: Feb 14, 2025 | 10:11 AM

ভোপাল: ২০১৮ সালে শতপ্রাচীন আইনকে ছুড়ে ফেলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তালিকা থেকে পরকীয়াকে হটিয়ে দিয়েছিল ভারতের শীর্ষ আদালত। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া আইনত দণ্ডনীয় নয়, তা সাফ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এমন পদক্ষেপকে বেনজির ও দৃষ্টান্তমূলক তকমা দিয়েছিলেন অনেকেই।

এবার পরকীয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে বেনজির রায় মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের। কী বলল তারা? স্বামী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক থাকতেই পারে। তবে শারীরিক সম্পর্ক না থাকলে অন্য পুরুষের সঙ্গে চলা প্রেমকে পরকীয়ার তকমা দেওয়া যায় না। মধ্যপ্রদেশের এক দাম্পত্য কলহের মামলাতেই এই কথা জানিয়েছেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি জিএস আহলুওয়ালিয়া।

মামলার সূচনা মধ্য়প্রদেশের এক পারিবারিক আদালতে। দাম্পত্য কলহ নিয়ে সেখানে দ্বারস্থ হয় এক দম্পতি। সেই মামলায় স্ত্রীকে অন্তর্বর্তী খোরপোশ হিসাবে ৪ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আর সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে দ্বারস্থ হন স্বামী। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হাই কোর্টে গিয়ে মামলাকারী দাবি করেন, স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া করছেন। তাই স্ত্রীয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব তার নয়।

মামলাকারীর মামলা প্রথমেই খারিজ করে দেয় মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। বিচারপতি জানান, স্ত্রী কোনও রকম পরকীয়া সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত থাকলে, তার ভরণপোষণের খরচ দিতে আপত্তি জানানো যেতে পারে। এরপরই পরকীয়ার সংজ্ঞা নিয়ে বিচারপতি বলেন, তবে শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই পরপুরুষের সঙ্গে স্ত্রী থাকলে সেটিকে পরকীয়া বলা যায় না।

আদালত সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি হাসপাতালেই ওয়ার্ড বয়ের কাজ করেন মামলাকারী। মাসে আয় ওই হাতেগোনা আট হাজার টাকা। তাই তার দাবি, পারিবারিক আদালতের নির্দেশ মতো ৪ হাজার টাকা খোরপোশ হিসাবে স্ত্রীকে দেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব। মামলাকারীর সেই দাবির ভিত্তিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যেখানে সেই টাকায় তিনি নিজের প্রয়োজন মেটাতেই অক্ষম। সেখানে দাঁড়িয়ে কেন তিনি বিয়ে করেছিলেন? তাই অক্ষমতা থাকলেও স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব তাকে নিতে হবেই।