
ভাবনগর: চার হাত এক হতে চলেছে। বিয়ের আর ঘণ্টাখানেক বাকি। বিয়েবাড়িতে খুশির আমেজ। আর সেই সময় শাড়ি ও টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে পাত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল পাত্রের বিরুদ্ধে। এমনকি, ঘরও লন্ডভন্ড করেন। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পাত্র পালিয়ে যান। মৃত পাত্রীর নাম সোনি হিম্মত রাঠোর। অভিযুক্ত পাত্রের নাম সাজন বারাইয়া। ঘটনাটি গুজরাটের ভাবনগরের টেকরি চকের।
পুলিশ জানিয়েছে, সোনি ও সাজন পরস্পরকে ভালবাসতেন। গত দেড় বছর ধরে তাঁরা একত্রবাস করতেন। দুই পরিবার তাঁদের সম্পর্ককে মেনে নেয়নি। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার রাতে তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের বেশিরভাগ আচার সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের ঘণ্টা খানেক আগে বিয়ের শাড়ি ও টাকা নিয়ে পাত্র পাত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেইসময়ই লোহার রড দিয়ে সোনিকে প্রথমে আঘাত করেন সাজন। তারপর দেওয়ালে তাঁর মাথা ঢুকে দেন।
পাত্রীকে খুনের পর ঘর লন্ডভন্ড করে ঘটনাস্থল থেকে পালান সাজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ভাবনগরের ডিএসপি আরআর সিঙ্ঘল বলেন, “পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও সোনি ও সাজন গত এক-দেড় বছর একসঙ্গে ছিলেন। শনিবার তাঁদের বিয়ে ছিল। বিয়ের ঘণ্টাখানেক আগেই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সোনির। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত শুরু হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, শনিবার এক প্রতিবেশীর সঙ্গেও বচসায় জড়িয়েছিলেন সোনি ও সাজন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়। সোনির মৃত্যুর পর আলাদা একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুধুমাত্র বিয়ের শাড়ি ও টাকা নিয়ে বচসার জেরে সোনিকে এমন নৃশংসভাবে সাজন খুন করেছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ জানিয়েছে, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।