
নয়াদিল্লি: জোড়া-খুন ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিল্লির লাজপত নগরে। ফাঁকা বাড়িতে একাই ছিলেন মা ও তার ১৪ বছরের নাবালক সন্তান। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে পরিবেশ-পরিস্থিতি এতটা বদলে যাবে, তা কেউ টেরই পায়নি। গোটা ঘটনা ঘিরে রীতিমতো তপ্ত হয়ে উঠেছে ওই এলাকার আবহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৯টা নাগাদ স্ত্রী-ছেলেকে ফোনে না পেয়ে ভয়ে ভয়ে থানায় ফোন করেন কুলদ্বীপ সেওয়ানি। তিনি নিহত মহিলা স্বামী তথা ওই নাবালকের বাবা। পুলিশকে তিনি জানান, তাদের ফ্ল্যাটে ঢোকার সিঁড়ির মুখে রক্তধারা বইছে। দরজাও আটকানো।
এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঢোকে তারা। দেখা যায়, ঘরের ফ্লোর জুড়ে বইছে রক্তধারা। বাথরুম থেকে ধীরে বয়ে আসছে সেই লাল-স্রোত। এরপরেই বাথরুমের দিকে এগিয়ে যেতেই চক্ষু-চড়কগাছ। মেঝেতে পড়ে মা-ছেলে। গোটা শরীরে ধারালো অস্ত্রের ক্ষত।
কীভাবে ঘটল? কেই বা খুন করল তাদের?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির লাজপত নগর এলাকাতেই তাদের একটি জামা-কাপড়ের দোকান রয়েছে। বুধবার রাতেও দোকানের কাজ সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল, তাদেরই গাড়ির ড্রাইভার। এই শেষবার দেখা গিয়েছিল সেই মহিলাকে।
এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেই ডাইভারের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। নাম মুকেশ। বিহার থেকে দিল্লিতে কাজের খোঁজে এসেছিল সে। তখনই তাকে নিযুক্ত করেন সেওয়ানি পরিবার। দোকানের কাজে সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের বাড়িতেই ড্রাইভারের কাজ করতেন মুকেশ।
পুলিশ তার বাড়িতে গেলেই দেখে, তল্পিতল্পা গুটিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে সে। তখন তাকে আটক করে তারা। জেরা করতেই বেরিয়ে আসে, বুধবার দোকানে ক্রেতাদের সামনেই তাকে বকুনি দিয়েছিলেন নিহত মহিলা। যার প্রতিশোধেই ফাঁকা বাড়ি পেয়ে ওই মহিলা ও নাবালককে হত্যা করে অভি্যুক্ত।