ঘটকালির মাধ্যমে বিয়ে একেবারে পাকা, আংটি বদলও হল, রেজিস্ট্রির জন্য বর যখন অপেক্ষায়, তখনই…

Mar 29, 2025 | 10:55 PM

পুলিশ জানিয়েছে, কর্নাটকের ব্যবসায়ী এম.ভি. শঙ্কর তাঁর ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছিলেন। তাঁর স্ত্রী ওড়িশা সীমান্তে অন্ধ্র প্রদেশের ইচ্ছাপুরমে থাকেন। সেই সূত্রে ওড়িশার কিছু লোকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁদের।

ঘটকালির মাধ্যমে বিয়ে একেবারে পাকা, আংটি বদলও হল, রেজিস্ট্রির জন্য বর যখন অপেক্ষায়, তখনই...
Image Credit source: rvimages/E+/Getty Images

Follow Us

ওড়িশা: নয়াগড় জেলা থেকে এক মহিলা এবং তাঁর মাকে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ওড়িশা পুলিশ। জানা গিয়েছে, একজন ঘটক দুই পরিবারকে একে অপরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। একটি হোটেলে দেখা করার পর তারা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়। বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। বাগদান অনুষ্ঠানও হয়। আংটি বিনিময় করা হয়। ঐতিহ্য অনুসারে, কনেকে গয়না এবং পোশাক উপহার দেয় বরপক্ষ।

ছেলের বাড়ি কর্নাটকে। পাত্রীর বাড়ি ওড়িশায়। সেই পাত্রীর মাকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মমতা দাস এবং তাঁর মেয়ে লক্ষ্মী দাস। দুজনেই নয়াগড় ওদগাঁওয়ের মহিপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তাঁরা ভুবনেশ্বরের শহিদ লক্ষ্মণ নায়ক বস্তিতে বসবাস করতেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, কর্নাটকের ব্যবসায়ী এম.ভি. শঙ্কর তাঁর ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছিলেন। তাঁর স্ত্রী ওড়িশা সীমান্তে অন্ধ্র প্রদেশের ইচ্ছাপুরমে থাকেন। সেই সূত্রে ওড়িশার কিছু লোকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁদের।

শঙ্কর একজন ব্যাঙ্ক এজেন্ট। তিনি বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমণ করেন। নয়াপল্লি থানা এলাকার একটি হোটেলে আংটি বদল অনুষ্ঠিত হয়। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। গত রবিবার রেজিস্ট্রির দিন ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন কনে এবং তাঁর পরিবারের মোবাইল ফোন কাজ করেনি এবং তাঁরা পৌঁছতেও পারেননি।

এরপর পাত্রপক্ষের সন্দেহ হয়। তারা কনের পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং জানতে পারে যে তারা বিয়ের নামে একটি প্রতারণা চালাচ্ছে। পাত্রীকে ততক্ষণে দেওয়া হয়ে গিয়েছে একটি নেকলেস, একটি ব্রেসলেট এবং কানের দুল। নয়াপল্লি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

মমতা দাস গ্রেফতার হওয়ার পর জানান যে তিনি কিছুই জানেন না, তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, যেখানে ছবিগুলো তোলা হয়েছিল, সেই আংটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তাকে প্রতারিত করা হয়েছিল। তবে, পুলিশ তদন্তের সময় জানা যায় যে অভিযুক্তের মিথ্যা অভিযোগ করা এবং অর্থ আদায়ের অভিযোগ আগেও উঠেছে।

Next Article