Crime: স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে পেঁচিয়ে প্রেমিককে খুন করল সিতারা, সাথ দিল স্বামী

Crime: মৃতের পরিবার জানিয়েছে, নৃশংস নির্যাতনের পর কোনওরকমে প্রতিবেশী ওই দম্পতির বাড়ি থেকে দৌড়ে নিজের বাড়িতে পৌঁছন আনীশ। নিজের বাড়ি পৌঁছে মারা যান ওই ব্যক্তি। সম্ভলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার শ্রীবাস্তব বলেন, "গতকাল রাতে আনীশের মৃত্যুর খবর পায় পুলিশ। আমরা খুনের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছি।"

Crime: স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে পেঁচিয়ে প্রেমিককে খুন করল সিতারা, সাথ দিল স্বামী
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Meta AI

Aug 10, 2025 | 6:01 PM

সম্ভল (উত্তর প্রদেশ): নৃশংসভাবে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ প্রতিবেশী এক দম্পতির বিরুদ্ধে। স্ক্রু ড্রাইভার, প্লাস দিয়ে মারা হয় আনীশ নামে ওই ব্যক্তিকে। তাঁর হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ একের পর এক তথ্য পেল। তাতেই জানা গেল, প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে মৃত ব্যক্তির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। স্বামীর সঙ্গে মিলে তিনি প্রেমিককে খুন করেছেন। মৃতের পরিবারের আবার দাবি, ওই দম্পতিকে ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন আনীশ। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের সম্ভলের।

আনীশের বাবা মুস্তাকিম বলেন, কয়েক বছর আগে রায়িজ আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী সিতারাকে ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। বছর পঁয়তাল্লিশের আনীশের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিলেন। সেইজন্য তিনি প্রতিবেশী ওই দম্পতির বাড়িতে টাকা আনতে গিয়েছিলেন বলে তিনি জানান। আনীশের বাবা অভিযোগ, “তারা আমার ছেলেকে বাড়িতে ডেকে খুন করেছে। ছেলের হাত-পা ভেঙে দিয়েছিল। তারা এমন নৃশংসভাবে আমার ছেলেকে খুন করেছে, আমি বর্ণনা করতে পারব না।”

মৃতের পরিবার জানিয়েছে, নৃশংস নির্যাতনের পর কোনওরকমে প্রতিবেশী ওই দম্পতির বাড়ি থেকে দৌড়ে নিজের বাড়িতে পৌঁছন আনীশ। নিজের বাড়ি পৌঁছে মারা যান ওই ব্যক্তি। সম্ভলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার শ্রীবাস্তব বলেন, “গতকাল রাতে আনীশের মৃত্যুর খবর পায় পুলিশ। আমরা খুনের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছি।”

ওই পুলিশ অফিসার আরও বলেন, তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত দম্পতি আনীশকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। তাঁর কথায়, “ওই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা জানতে পারি, আনীশের সঙ্গে সিতারার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আনীশকে খুনের পরিকল্পনা করেন ওই দম্পতি। তারপর বাড়িতে ডেকে খুন করা হয়।” সিতারা কেন তাঁর স্বামীর সঙ্গে এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত হলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।