
নয়াদিল্লি: ১৬ বছর ধরে একত্রবাস। কিন্তু তারপরেও প্রাক্তন সঙ্গীর বিরুদ্ধে দায়ের যৌন নির্যাতনের মামলা। ঘটনা ২০২২ সালের। প্রাক্তন সঙ্গী, অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে করলে, তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন মহিলা। এদিন সেই মামলার শুনানিই চলল শীর্ষ আদালতে। ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন খোদ মামলাকারী।
অভিযোগকারিণীর দাবি, ২০০৬ সালে গভীর রাতে তার বাড়িতে লুকিয়ে ঢুকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন সেই অভিযুক্ত। এর পাল্টা আবার অভিযুক্তের দাবি, যে সেই রাতের পরেও তাদের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়েনি। উল্টে এরপর বেশ কয়েকবছর ধরে দু’জনের সম্মতিতেই একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
কিন্তু সমস্যা শুরু হয় বেশ কয়েক বছর কাটতেই। সম্পর্কে ফাটল ধরে দু’জনের। এরপর ২০২২ সালে অন্য এক মহিলার সঙ্গে সেই অভিযুক্ত বিয়ে করে নিলে, তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন সেই মহিলা। দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার আদালতে বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চেই ছিল সেই মামলার শুনানি।
সেখানেই দুই পক্ষের যুক্তি শোনার পর অভিযুক্তকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তাদের যুক্তি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা মানেই তা ধর্ষণ নয়। একমাত্র, বিয়ের মিথ্য়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও মহিলাকে জোর জবরদস্তি শারীরিক সম্পর্কে টেনে আনা হলেই, তা ধর্ষণ হতে পারে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ ভাবেই দু’জনের সম্মতিতে।
তারা আরও বলেন, যুবতীর অভিযোগে নানা অসঙ্গতি রয়েছে। যদি অভিযুক্ত বলপ্রয়োগ করেই সেই মহিলার সঙ্গে যৌন মিলন করে থাকতেন, তবে তিনি কেন এতদিন চুপ ছিলেন? আর হঠাৎ করেই অভিযোগটা তুললেন কখন যখন সেই যুবক অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে করে নিল। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, মহিলা নিজে প্রতিষ্ঠিত ও উচ্চশিক্ষিত। এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি যৌন নির্যাতন সহ্য করবেন, তা কার্যত অবিশ্বাস্য।