
নয়ডা: ১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে চোদ্দোতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন সাঁইত্রিশ বছরের এক মহিলা। ২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডায়। মৃতদের নাম সাক্ষী চাওলা ও দক্ষ চাওলা। বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিশ। যেখানে এই চরম পদক্ষেপের জন্য স্বামীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাক্ষী। স্বামীকে আর কষ্ট না দিতেই এই পদক্ষেপ করছেন বলে সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, যে বহুতল থেকে ছেলেকে নিয়ে সাক্ষী ঝাঁপ দেন, সেখানেই থাকতেন তাঁরা। সাক্ষীর স্বামী দর্পণ চাওলা এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ওই বহুতলের ১৪ তলাতে থাকতেন। পুলিশকে দর্পণ জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। বলেন, “আমি অন্য একটা রুমে ছিলাম। হঠাৎই চিৎকার শুনি। দৌড়ে ব্যালকনিতে এসে দেখি, আমার স্ত্রী ও পুত্র নিচে পড়ে রয়েছে।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ফ্ল্যাট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে তারা। যেখানে স্বামীর উদ্দেশে সাক্ষী লিখেছেন, “আমরা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দুঃখিত। আমরা আর তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। আমাদের জন্যে তোমার জীবন নষ্ট হোক চাই না। আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।”
জানা গিয়েছে, সাক্ষী ও দর্পণের পুত্র দক্ষ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। তার চিকিৎসা চলছিল। এই নিয়ে দীর্ঘদিন চিন্তায় ছিলেন সাক্ষী। সেন্ট্রাল নয়ডার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শক্তি অবস্তি বলেন, “পুলিশ একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে। জানা গিয়েছে, নাবালকটি অসুস্থ ছিল।” ছেলের অসুস্থতার জন্যই সাক্ষী এই চরম পদক্ষেপ করেছেন বলে প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে শক্তি অবস্তি জানান।