Murder: রিল শুটের সঙ্গীর সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা, দেখে ফেলায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বামীকে খুন করল ইউটিউবার

Murder: পুলিশ জানিয়েছে, রবীনা ও সুরেশকে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন প্রবীণ। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বাধে। তখনই বছর পঁয়ত্রিশের প্রবীণকে ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে ধরে রবীনা ও সুরেশ। শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় প্রবীণের।

Murder: রিল শুটের সঙ্গীর সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা, দেখে ফেলায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বামীকে খুন করল ইউটিউবার
ধৃত সুরেশ ও রবীনাImage Credit source: Social Media

Apr 16, 2025 | 1:54 PM

নয়াদিল্লি: স্বামীর অনুমতি ছিল না। অন্য যুবকের সঙ্গে মিলে রিল বানানোয় আপত্তি ছিল। সেই আপত্তি উড়িয়েই রিল বানাতেন স্ত্রী। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিলই। তারই মধ্যে ওই যুবকের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখে ফেলায় প্রাণ দিতে হল এক ব্যক্তিকে। স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক শ্বাসরোধ করে খুন করেন তাঁকে। এমনকি, দেহটি একটি নালায় ফেলে দিয়ে আসে। ঘটনাটি হরিয়ানার হিসার জেলার।

পুলিশ জানিয়েছে, বছর বত্রিশের রবীনা রিল বানাতেন। সেই সূত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুরেশ নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা দেখাসাক্ষাৎ করেন। এরপর একসঙ্গে রিল বানাতে শুরু করেন তাঁরা। রবীনার স্বামী প্রবীণ ও তাঁর পরিবার এই রিল বানানোয় আপত্তি জানায়। তারপরও রবীনা ও সুরেশ একসঙ্গে রিল বানানো ছাড়েননি। গত বছর দেড়েক ধরে তাঁরা একসঙ্গে রিল বানাচ্ছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ৩৪ হাজারের বেশি ফলোয়ার রবীনার। ইউটিউবে অন্য শিল্পীদের সঙ্গেও ভিডিয়ো বানান তিনি। প্রবীণের তীব্র আপত্তি ছিল তাঁর স্ত্রীর এভাবে রিল বানানোয়। কিন্তু, তাঁর কোনও আপত্তিই ধোপে টেকেনি। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ মার্চ রবীনা ও সুরেশকে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখে ফেলেন প্রবীণ। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বাধে। তখনই বছর পঁয়ত্রিশের প্রবীণকে ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে ধরে রবীনা ও সুরেশ। শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় প্রবীণের। পরিবারের লোকজন প্রবীণের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রবীনা জানান, তিনি জানেন না কোথায় গিয়েছেন তাঁর স্বামী।

ওইদিন গভীর রাতে প্রবীণের দেহ বাইকে চাপিয়ে রবীনার বাড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যান ২ জনে। একটি নালায় দেহ ফেল দেন। গত ২৮ মার্চ প্রবীণের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে সদর পুলিশ স্টেশন।

পরে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ দেখে, হেলমেট পরা এক ব্যক্তি একটি বাইকে করে যাচ্ছেন। পিছনে মুখ ঢাকা অবস্থায় বসে রয়েছেন এক মহিলা। বাইক চালক ও মহিলার মাঝে একটি দেহ রয়েছে। ঘণ্টা দুয়েক পর ওই বাইক চালক ও মহিলাকে ফেরত যেতে দেখা যায়। এইসময় মাঝে কাউকে দেখা যায়নি।

ঘটনার তদন্তে নেমে রবীনা ও সুরেশকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁদের জেলে পাঠানো হয়েছে। প্রবীণের ৬ বছরের পুত্র তার ঠাকুরদা ও ঠাকুরমার কাছে রয়েছে।