জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইনে ‘স্টেপ আউট’ যোগীর, ‘চক্রান্তের’ দাবি বিরোধীদের
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই নীতির মাধ্যমে শুধু জন্ম নিয়ন্ত্রণ নয়, তার সঙ্গে মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দেওয়াও সহজ হবে।
লখনউ: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের খসড়া বিল প্রকাশ্যে আনলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে খসড়া বিল প্রকাশ্যে এনে যোগীর দাবি, ২০২৬ সালের মধ্যে জন্মহার ২.১-এ নামিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করবেন তিনি। যোগী জানিয়েছেন, সমাজের বিভিন্ন বিভাগকে মাথায় রেখেই এই নীতি কায়েম করার কাজ করবে তাঁর সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই নীতির মাধ্যমে শুধু জন্ম নিয়ন্ত্রণ নয়, তার সঙ্গে মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দেওয়াও সহজ হবে। আসন্ন উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হতে চলেছে এই জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল। যোগী আদিত্যনাথের সরকার এই বিলে সাফ জানিয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তির দু’য়ের বেশি সন্তান থাকে, তাহলে তিনি স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সরকারি চাকরি বা অন্যান্য সুবিধা থেকেও তিনি বঞ্চিত হবেন। সরকারি চাকুরিজীবী হলে তাঁর পদোন্নতি হবে না।
পাশাপাশি এই বিলে বলা হয়েছে, ২ সন্তান থাকলে চাকুরিজীবী কোনও ব্যক্তি ২ বার ইনক্রিমেন্ট পাবেন। তার সঙ্গে পুরো বেতন-সহ পিতৃত্বকালীন ছুটিও পাবেন। ন্যাশনাল পেনসন স্কিমেও বাড়তি টাকা মিলবে নিয়ম মানলে। যদিও এই বিলকে ‘রাজনীতির এজেন্ডা’ হিসেবেই দেখছে সমাজবাদী পার্টি। তাঁদের অভিযোগ, এই বিলের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে যোগী সরকার।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি অবশ্য যোগী সরকারের এই বিলকে স্বাগতম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি উত্তর প্রদেশ জন্মহার নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে, তাহলে সে বিষয়কে স্বাগত।” যোগী সরকারের এই বিলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক সিংয়ের মতে, জন্মহার নিয়ন্ত্রণ করা কেন্দ্রের কাজ, যোগী শুধুমাত্র নির্বাচন জেতার জন্য এই বিল আনছেন। কয়েকদিন আগে সমাজবাদি পার্টির বিধান পরিষদের সদস্য ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, “জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত।” উল্লেখ্য, এর আগে অসমেও এই বিল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খোদ সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই নীতি প্রয়োগের জন্য সখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আরও পড়ুন: লক্ষ্য উত্তরাখণ্ড, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ‘বিদ্যুৎ চাল’ কেজরীবালের