প্রয়াগরাজ: কুম্ভে গিয়ে পড়ল মার। সাধুবাবার চিমটার বাড়ি খেয়ে ছুট দিলেন ইউটিউবার। জানা যায়, একের পর এক প্রশ্ন আর তাতেই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন সাধুবাবা। আর তারপরেই চিমটা হাতে তুলে চলল বেধড়ক মার।
চারপাশে ডিজিটাল ক্যামেরা, মাথার উপর উড়়ছে ড্রোন, ক্য়াম্পে ক্যাম্পে লাগানো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সিসিটিভি। ডিজিটাল ছোঁয়া পেয়েছে কুম্ভ মেলা। আর সেই সূত্র ধরে কুম্ভের স্মৃতি বেঁধে রাখতে, দেশের অন্যান্য মানুষের কাছে কুম্ভের রূপ রীতিকে ডিজিটালি পৌঁছে দিতে মেলায় ভিড় জমিয়েছেন একাধিক ইউটিউবার ও সমাজমাধ্যম প্রভাবশালীরা।
কুম্ভের এই রূপ হয়তো আজ থেকে ১৪৪ বছর আগে কেউ কখনওই ভাবতে পারেনি। ১৪৪ বছর তো দূর, ১০ বছর আগে কেউ ভাবতে পেরেছে কি না তাতেও সন্দেহ রয়েছে।
মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে ত্রিবেণী মহাসঙ্গমের তীরে ইতিমধ্যে ভিড় জমিয়েছেন বহু সাধু-সন্ন্যাসী ও অঘোরীরা। তাদের রূপ, জীবনরীতি দেখে চোখ কপালে উঠছে সাধারণ মানুষের। ফলত, সাধু-সন্ন্যাসীদের পূর্ব ও বর্তমানের জীবন জীবিকা সম্বন্ধে জানতে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন অনেকেই। সেই সূত্র ধরে ভিড় বাড়াচ্ছে ইউটিউবাররাও । যদি একবার চমকপ্রদ তথ্য মিলে যায়, তাহলেই তো উঠবে মুনাফার ঢেউ। মনে এই আশা নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন সেই সাধু-সন্তদের সঙ্গে গল্প ফাঁদতে।
আর এদিন এরকম ভাবে গল্প ফাঁদতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়লেন এক ইউটিউবার। ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে,(সত্যতা যাচাই করেনিটিভি৯ বাংলা) তাঁবুতে বসে থাকা এক সাধুকে পর পর প্রশ্ন করছেন এক ব্যক্তি। পেশায় ইউটিউবার। কিন্তু একটা সময় পর সেই ব্যক্তির প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে যান সাধুবাবা। আর তারপরেই উঠে চলে বেধড়ক মার। সাধুবাবার চিমটার বাড়ি খেয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যান সেই ইউটিউবার।
কিন্তু জানেন সাধুকে কী প্রশ্ন করেছিলেন সেই ইউটিউবার। ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, সাধুবাবাকে ইউটিউবার প্রশ্ন করে, ‘আপনি কোন ভগবানের সাধনা করেন?’ আর সেই প্রশ্ন শুনতেই ক্ষেপে লাল হয়ে যান সাধুবাবা। ইউটিউবারকে মাটিতে ফেলে চলে বেধড়ক মার।