কলকাতা: বাম যুবদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিল বামেরা। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলায় হরতালের ডাক দিয়েছে তারা। তাদের দাবি, ছাত্রদের উপর যেভাবে নির্বিচারে আঘাত হানা হল তা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের উপরই আঘাত। তাই গোটা রাজ্যের মানুষকে এই হরতালে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিও।
বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র যুবদের ১০টি সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। সেই অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নেয় শহর। বামেদের দাবি, মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই ডোরিনা ক্রসিং অবধি পৌঁছয়। কিন্তু এরপরই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় গোলমাল। কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ তাদের উপর জল কামান ছোড়ে বলে অভিযোগ। এরপর কাদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। মিছিল প্রতিহত করতে চলে লাঠিচার্জ। গুরুতর আহত হন ছয় আন্দোলনকারী। আহত হন বহু পুলিশ কর্মীও।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান: ছাত্র পুলিশের সংঘর্ষে রক্তাক্ত ডোরিনা ক্রসিং, জখম দু’পক্ষই, ভিড় জমছে হাসপাতালে
আহত আন্দোলনকারীদের নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই বিকেলে তাঁদের দেখতে যান সিপিআইএম নেতা রবীন দেব। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “আজ যেভাবে ছাত্রদের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নৃশংস হামলা চালাল তার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। বাম, কংগ্রেস নির্বিশেষে সকলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। এভাবে মহিলা ও ছাত্রদের উপর যে হামলা হল তার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছি।”
অন্যদিকে, পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি এই ধর্মঘটকে সামনে থেকে সমর্থন করেছেন। বিগত কয়েক দিন ধরেই তিনি বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে পারেন এমন জল্পনা তীব্রতর হয়েছে। আলোচনা চেয়ে উভয় পক্ষকে তিনি চিঠিও দিয়েছেন। আজ বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের জলকামান ও টিয়ারগ্যাস ছোড়া নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ১১ ফ্রেব্রুয়ারি বাংলার গণতন্ত্রের ইতিহাসে কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এর মধ্যেই বনধকে সমর্থন জানিয়ে জোটের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করলেন আব্বাস নিজেই।
কলকাতা: বাম যুবদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিল বামেরা। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলায় হরতালের ডাক দিয়েছে তারা। তাদের দাবি, ছাত্রদের উপর যেভাবে নির্বিচারে আঘাত হানা হল তা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের উপরই আঘাত। তাই গোটা রাজ্যের মানুষকে এই হরতালে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিও।
বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র যুবদের ১০টি সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। সেই অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নেয় শহর। বামেদের দাবি, মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই ডোরিনা ক্রসিং অবধি পৌঁছয়। কিন্তু এরপরই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় গোলমাল। কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ তাদের উপর জল কামান ছোড়ে বলে অভিযোগ। এরপর কাদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। মিছিল প্রতিহত করতে চলে লাঠিচার্জ। গুরুতর আহত হন ছয় আন্দোলনকারী। আহত হন বহু পুলিশ কর্মীও।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান: ছাত্র পুলিশের সংঘর্ষে রক্তাক্ত ডোরিনা ক্রসিং, জখম দু’পক্ষই, ভিড় জমছে হাসপাতালে
আহত আন্দোলনকারীদের নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই বিকেলে তাঁদের দেখতে যান সিপিআইএম নেতা রবীন দেব। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “আজ যেভাবে ছাত্রদের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নৃশংস হামলা চালাল তার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। বাম, কংগ্রেস নির্বিশেষে সকলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। এভাবে মহিলা ও ছাত্রদের উপর যে হামলা হল তার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছি।”
অন্যদিকে, পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি এই ধর্মঘটকে সামনে থেকে সমর্থন করেছেন। বিগত কয়েক দিন ধরেই তিনি বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে পারেন এমন জল্পনা তীব্রতর হয়েছে। আলোচনা চেয়ে উভয় পক্ষকে তিনি চিঠিও দিয়েছেন। আজ বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের জলকামান ও টিয়ারগ্যাস ছোড়া নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ১১ ফ্রেব্রুয়ারি বাংলার গণতন্ত্রের ইতিহাসে কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এর মধ্যেই বনধকে সমর্থন জানিয়ে জোটের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করলেন আব্বাস নিজেই।