কলকাতা: দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে চাপানউতোর। শেষে কার্যত আন্দোলনের ভাষাতেই এসওপি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের! রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পরীক্ষায় টোকাটুকি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরীক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে মাথায় রেখে একটি কমিটি গঠন করা হয়। গত ৩০ অক্টোবর সেই কমিটি বৈঠক করে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায় ১৩টি এসওপি তৈরি করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
পরীক্ষা পদ্ধতি পরিচালনার শীর্ষে রয়েছে আন্দোলন থেকে উঠে আসা শব্দবন্ধ ‘লাইভ স্ট্রিমিং’! সোজা কথায়, রাজ্যের সবকটি মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং হওয়া নিয়ে টানাপড়েন কম হয়নি। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি না মানায় কালীঘাটের বৈঠক ভেস্তেই গিয়েছিল।
অন্যদিকে আবার জুনিয়র চিকিৎসকদের ‘অজান্তেই’ গত ২১ অক্টোবর নবান্নের বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং হয়েছিল। সেই বৈঠক থেকেই পরীক্ষার হলে যাতে কেউ ঘাড় না ঘোরাতে পারেন তা নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের পাশাপাশি প্রতিদিনের পরীক্ষার সিসি ফুটেজ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনওরকম অনৈতিক উপায়ে পরীক্ষা দিলেই কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। মোবাইল, স্মার্ট ওয়াচ, ব্লু টুথ স্পিকারের সাহায্যে টুকলি করলে অভিযুক্তের সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা বাতিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে এসওপি’তে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের নির্দেশ মেনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। কিন্তু, কমিটির এই সুপারিশ ঘিরে আবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। থ্রেট কালচার নিয়ে কলেজ কাউন্সিলের পদক্ষেপ ঘিরে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য প্রশাসন। কলেজ কাউন্সিলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কী ভাবে অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? প্রশ্ন জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসকদের।