Fire in Kolkata Hotel: ‘জলই তো ছিল না, আগুন নিভবে কীভাবে!’, বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডে উঠছে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন

Fire in Kolkata Hotel: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ। তারপর থেকে প্রায় ৮ ঘণ্টা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলে উদ্ধার কাজ। ভিতরের এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যে বেশ কিছু ব্যক্তিকে হোটেলের কার্নিশ দিয়ে বের হতে দেখা যায়।

Fire in Kolkata Hotel: ‘জলই তো ছিল না, আগুন নিভবে কীভাবে!’, বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডে উঠছে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন
কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা? Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Apr 30, 2025 | 9:10 AM

কলকাতা: আমরি, স্টিফেন কোর্টের স্মৃতি ফিরল বড়বাজারে। ধোঁয়ায় গ্যাসচেম্বার আস্ত হোটেল। ২ শিশু, ১ মহিলা-সহ ১৪ জনের মৃত্যু। দুই  শিশুর মধ্যে ১ জন ৩ বছর ও অন্যজন ১০ বছরের বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের বাড়ি তামিলনাড়ুতে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে গোটা ঘটনায় হোটেলের নিরাপত্তা থেকে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন পুরোটাই গোলযোগ। আগুন নেভানোর ন্যূনতম ব্যবস্থা ছিল না ৬ নম্বর মদন মোহন বর্মন স্ট্রিটের ওই হোটেলে। পাওয়া যায়নি জল।

এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, ওদের হোটেলে কোনও ব্যবস্থাই ছিল না। দমকলের লোকজনই বলছে জলের লাইন করা আছে কিন্তু জল ছিল না। বহুতলে যে ট্যাঙ্ক থাকে সেখানে জল ছিল না। যে জল বের হচ্ছিল তাতেও সেরকম চাপ ছিল না। পুরো পাইপ লাইনই খালি। তাঁর কথায়, আগুন লাগার পর রিজার্ভার থেকে জল নিয়ে হোটেলের লোকজনই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল। এখনও তো পাইপ লাগানোই আছে। কিন্তু, জল তো নেই। কী আর হবে! তারপর তো দমকল এসে লোকজনকে বাঁচাল।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ। তারপর থেকে প্রায় ৮ ঘণ্টা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলে উদ্ধার কাজ। ভিতরের এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যে বেশ কিছু ব্যক্তিকে হোটেলের কার্নিশ দিয়ে বের হতে দেখা যায়। অনেকেই আতঙ্কে হোটেলের ছাদে উঠে যান। এদিকে হোটেলে রয়েছে মোট ৪২টি ঘর। সেখান থেকে অনেকেই প্রাণভয়ে ছাদে উঠে গিয়েছিলেন বলে দমকলের লোকজন জানাচ্ছেন। প্রায় ২৫ জনকে হাইড্রোলিক ল্যাডারের সাহায্যে নামানো হয়। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে হোটেলের মালিককে আর খুঁজে পাচ্ছে না কলকাতা পুলিশ! তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।