
কলকাতা: একুশের সভামঞ্চে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা গেল পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর বৃদ্ধ বাবা-মাকে। এদিন মুখ্য়মন্ত্রী তাঁদের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। বিতানের বাবার জন্য ১০ হাজার টাকার পেনশন ফান্ড ও স্বাস্থ্য় সাথী কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা শেষে বিতানের বয়স্ক বাবা-মাকে হাত ধরে বের করে আনতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু এদিনের মঞ্চে লক্ষ্যণীয়ভাবে দেখা গেল না বিতান অধিকারীর স্ত্রী সোহিনী অধিকারীকে। কিন্তু কেন দেখা গেল না? TV9 বাংলাকে ফোনে বিতানের স্ত্রী সোহিনী জানালেন, “কে কোথায় গিয়েছেন, আমার ঠিক জানা নেই। কিন্তু আমাকে ফোন করে কেউ থাকার বিষয়ে জানাননি।”
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার পাটুলির বাসিন্দা বিতান। কর্মসূত্রে স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে থাকতেন আমেরিকায়। তাঁর স্ত্রী সোহিনী বাংলাদেশের নাগরিক বলে অভিযোগ করেছিলেন প্রয়াত বিতানের দাদা বিভু অধিকারী।
কাশ্মীর থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে সোহিনীরা নামার পরই সেই সন্ধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাসরা। কিন্তু সে সময়েই সেখানে পৌঁছে যান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিতানের ছোট্ট ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব নেন শুভেন্দু।
এরপরও বিতানের দাদা বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন, সরকারের তরফ থেকে যদি কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, সেটাও পাওয়ার অধিকার বিতানের বৃদ্ধ মায়েরই। তখনও এবিষয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি সোহিনী। পরে অবশ্য সোহিনীকে ভারতীয় নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেয় ভারত সরকার।