
কলকাতা: যুবভারতী কাণ্ডে টিকিট বিক্রির টাকা অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার রুখল এসআইটি। আরও বিপাকে মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। শতদ্রুর রিষড়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার মেসির অনুষ্ঠান সংক্রান্ত প্রচুর নথি। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২২ কোটি টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন শতদ্রু। এরইমধ্যে একদিন আগে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিটের তদন্তকারীরা। সেই তল্লাশিতে মেসির অনুষ্ঠান সংক্রান্ত একাধিক নথির পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিও উদ্ধার হয়।
সূত্রের খবর, অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি উদ্ধারের পরেই অ্যাকশন নেয় পুলিশ। শতদ্রুর অ্যাকাউন্টে থাকা মোচ ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সিট সূত্র মারফত জানতে পারা যাচ্ছে। একইসঙ্গে ঘটনার দিন যুবভারতীতে যে টিকিট বিক্রি হয়েছিল তার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ কোটির কাছাকাছি বলে খবর। সেই টাকাও যাতে শতদ্রু দত্তের অ্য়াকাউন্টে না আসে ইতিমধ্যেই সেটাই নিশ্চিত করেছে সিট।
যে তৃতীয় মধ্যস্থতাকারী সংস্থার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি হয়েছিল তাঁদের কাছে ইতিমধ্য়েই চলে গিয়েছে পুলিশের নির্দেশ। টিকিট বিক্রির টাকা যাতে কোনওভাবেই তাঁরা যেন শতদ্রুর অ্যাকাউন্টে না ফেলে তা বলা হয়েছে। কারণ, যুবভারতী-কাণ্ডের ক্ষতিপূরণ সেই টাকা থেকেই দেওয়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে শতদ্রু দত্তর দাবি, ওইদিনের বিশৃঙ্খলার জন্য তিনি কোনওভাবেই দায়ী নন। কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পরিকল্পনামাফিক মেসি তাঁর অনুষ্ঠান করতে পারেননি। তাহলে সেই ভিড় কেন নিয়ন্ত্রণ করা গেল না? সূত্রের খবর, এ প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। পাস বিলির ক্ষেত্রে রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপের কথা তুলে ধরেছেন। তার জন্য অতিরিক্ত ভিড় হয় বলে দাবি শতদ্রু দত্তর। অর্থাৎ, রাজ্য সরকারের একটা বড় অংশ যখন গোটা কাণ্ডের জন্য বেসরকারি আয়োজককে দায়ী করেছিল সেখানে জেরার সময় পাল্টা রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন শতদ্রু।