
সোমা দাস ও সুমন মহাপাত্রের রিপোর্ট
কলকাতা: সারারাত রাস্তায় বসে থাকার পর শুনতে হচ্ছে, ‘নাটক করতে এসেছে…’। জল জোটেনি এক বোতলের বেশি। মহিলা আন্দোলনকারীরা কোন টয়লেট ব্যবহার করবেন, বুঝতে পারছেন না। তবু, একটাই দাবিতে তাঁরা অনড়। তালিকা দিতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে, কারণ, সেই প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিল তারা। তাই চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সহ কোনও কর্মীকেই এসএসসি-র অফিস থেকে বেরতে দেওয়া হয়নি। সকালে দেখা গেল, ওআরএস-এর প্যাকেট হাতে দাঁড়িয়ে আছেন চাকরিহারারা।
সোমবার দুপুরের পর আচার্য সদন থেকে বেরতে পারেননি কেউ। রাতে বিরিয়ানি ও পিৎজা অর্ডার করলেও সে সব খাবার ঢোকার আগেই নষ্ট করে দেন বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার সকালে এক ব্যক্তি চা দিতে ঢুকছিলেন আচার্য সদনে। তাঁর হাত থেকে মাটির ভাঁড় কেড়ে ভেঙে ফেলা হয়। পরবর্তীতে তারা ওআরএসের প্যাকেট হাতে দফতরের গেটের সামনে যান।
এক আন্দোলনকারী বলেন, “ওঁরা ওআরএস খান। সুস্থ থাকুন। খাওয়া-দাওয়া করুন। টয়লেট ব্যবহার করুন। কিন্তু কাজটা করে দিন। এখানে বসেই কাজ করতে হবে। বাইরে আমরা যেতে দেব না।” তিনি আরও বলেন, “পরের বার থেকে খাবার এলে আমরা ঢুকতে দেব। তবে বারবার বিরিয়ানি আসবে, আর আমরা বসে বসে দেখব, তা তো হতে পারে না। তবে ওঁরা যেন বলতে না পারেন, যে আমরা যেতে দিইনি।”
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর থেকে চেয়ারম্যান সহ ২৫ জন আটকে আছেন এসএসসি অফিসে। চার মহিলাকর্মীও বাড়ি যেতে পারেননি। জানা গিয়েছে, তাঁরা বিস্কুট খেয়েই রাত কাটিয়েছেন, কারণ বাইরে থেকে কোনও খাবার ঢুকতে দেওয়া হয়নি।