AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR: রাজ্যে ৮৫ লক্ষের বাবার নামে গলদ! ১ কোটিরও বেশি ভোটারের তথ্য নিয়ে সন্ধিহান কমিশন, SIR-এ বাংলায় সবচেয়ে বড় ব্রেকিং

SIR In WB: বিস্তারিত যদি তথ্যগুলো যাচাই করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির নাম বাবা - মা হিসেবে এসেছে। অর্থাৎ পরিবারে একজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম যা ওই পরিবারে, আরেকজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম মায়ের জায়গায় এসেছে।

SIR: রাজ্যে ৮৫ লক্ষের বাবার নামে গলদ! ১ কোটিরও বেশি ভোটারের তথ্য নিয়ে সন্ধিহান কমিশন, SIR-এ বাংলায় সবচেয়ে বড় ব্রেকিং
কী বলছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন? কোন রাজ্য কত শতাংশ ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হল? Image Credit: Social Media
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2025 | 8:37 PM
Share

কলকাতা: ৮৫ লক্ষ ভোটারের বাবার নামে গলদ। রাজ্যে এসআইআর নিয়ে সবচেয়ে বড় ব্রেকিং। সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের বাবা-মায়ের নাম এক। ১৫ বছরের কম বয়সে বাবা হয়েছেন, এরকম সংখ্যা ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার। রাজ্যে ৬ সন্তানের বাবার সংখ্যা ২৪ লক্ষ ২১ হাজার। ৪০ বছরেরও কম বয়সে ঠাকুরদা হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার। অর্থাৎ গোটা পরিসংখ্যান যদি মিলিয়ে দেখা হয়, তাহলে সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ জন ভোটার। তাঁদের তথ্য নিয়েই সন্ধিহান কমিশন।

বিস্তারিত যদি তথ্যগুলো যাচাই করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির নাম বাবা – মা হিসেবে এসেছে। অর্থাৎ পরিবারে একজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম যা ওই পরিবারে, আরেকজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম মায়ের জায়গায় এসেছে।

রাজ্যে ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার২৩০ ভোটারের বাবার চেয়ে ১৫ এর কম ছেলের বয়স। আবার দেখা যাচ্ছে,  ৪০ এর কম বয়সেই ঠাকুরদা হয়ে গিয়েছেন, এমন ব্যক্তি ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ১৫২ ভোটারের। তাঁদের তথ্য অর্থাৎ বয়স নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহে রয়েছে কমিশন।

অর্থাৎ এই ১ কোটি ৬৭ লক্ষের বেশি কিছু ভোটার, যাঁরা নাম-বয়সে গলদ, তাঁরা ডাক পেতে পারেন হিয়ারিংয়ে। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত ভোটারদের তথ্য ফের যাচাই করা হবে। বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করবেন, তারপর শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে রোল অবজারভারদের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই তথ্য সামনে আসার পরই স্বাভাবিকভাবে সরব বিরোধীরা। বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলেন, “পুরোটাই আসলে ভেজাল। ভোটে জেতার জন্য বিভিন্ন সময়ে বামেরা, তারপর তৃণমূল সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। আসল ভোটারদের ভোট দিতে দেননি। ১৫ বছরে যারা বাবা হয়েছে, তারাই আসলে ভূতুড়ে ভোটার হয়ে এইসব লোকদের জিতিয়ে এসেছে।”

অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “কোথায় বাবার নামে ভুল রয়েছে, কোথায় একাধিক ক্ষেত্রে বাবার নাম এক, এগুলো সবই খতিয়ে দেখা নির্বাচন কমিশনের কাজ। সারা বছর ধরে হয়ে থাকে। যদি এরকম কোনও তথ্য সামনে এসে থাকে, তাহলে তা বাদ যাবে।”