
কলকাতা: রাত পোহালেই ভারত বনধ! কিন্তু কোনওভাবেই ধর্মঘটীদের বরদাস্ত করা যাবে না। অসুস্থ হয়ে গেলে, বাড়িতে কারও মৃত্যু বা কেউ মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে থাকলে এবং হাসপাতালে ভর্তি ব্যতিত কেউ আগামীকাল অফিসে না এলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাফ জানিয়ে দিল নবান্ন। কড়া পদক্ষেপের পথে লালবাজারেরও।
প্রসঙ্গত, ৯ জুলাই গোটা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, ব্যাঙ্ক, কৃষক ও গ্রামীণ শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক-কৃষক নীতির বিরোধিতা করেই এই ধর্মঘটের ডাক। মঞ্চের দাবি, বুধবারের বনধে ২৫ কোটিরও বেশি শ্রমিক অংশ নিতে চলেছেন। যদিও বনধকে কোনওভাবেই ‘এন্টারটেইন’ করতে নারাজ মমতার সরকার। কেউ জোর করে বনধ করতে চাইলে, কোনও সরকারি বা বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্পষ্ট বলছেন, লালবাজারের যুগ্ম কমিশনার হেডকোয়ার্টার মিরাজ খালিদ।
একইসঙ্গে শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকছে। প্রতিটি ডিভিশনের জন্য ডেপুটি কমিশনারদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে নিজ নিজ থানার এলাকা দেখার জন্য। রাস্তায় থাকবে যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার-সহ ডেপুটি কমিশনার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার-সহ অফিসার ইনচার্জ পদমর্যাদার অফিসাররা থাকবেন। শহরের বাজার, শপিং মল, অফিস পাড়া, স্কুল ও কলেজ এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকতে বলা হচ্ছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। কেউ দীর্ঘ সময় রাস্তা বন্ধ করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে।