Kolkata Police: ঘরের ভিতর মর্মান্তিক কাণ্ড, পুলিশের নাকের ডগায় আচমকা ঘটে গেল সব কিছু!

Kolkata Police: জানা যাচ্ছে, গত জানুয়ারি মাসে ভবানীপুর থানা এলাকার একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেই নিয়ে ২ জানুয়ারি ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। আইপিসি ৩৮০ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল ভবানীপুর থানার পুলিশ। সেই চুরির মামলা সংক্রান্ত তদন্তেই এদিন পঞ্চসায়র থানা এলাকার বাসিন্দা কনদ চক্রবর্তীর বাড়িতে যায় পুলিশ।

Kolkata Police: ঘরের ভিতর মর্মান্তিক কাণ্ড, পুলিশের নাকের ডগায় আচমকা ঘটে গেল সব কিছু!
কলকাতার রাস্তায় পুলিশের নজরদারি (ফাইল ছবি)Image Credit source: Facebook

| Edited By: Soumya Saha

Apr 06, 2024 | 10:59 PM

কলকাতা: পুলিশের নাকের ডগায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব যাদবপুর এলাকার এক বাড়িতে। জানা যাচ্ছে, পঞ্চসায়র থানা এলাকার বাসিন্দা কনদ চক্রবর্তী নামে বছর তেতাল্লিশের এক ব্যক্তিকে নিয়ে পূর্ব যাদবপুরের এক বাড়িতে তদন্তে গিয়েছিল ভবানীপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই অভিযানের সময়েই আচমকা মুখের মধ্যে কিছু একটা তরল পানীয় ঢেলে ফেলে কনদ। এরপর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে ওই ব্যক্তিকে।

জানা যাচ্ছে, গত জানুয়ারি মাসে ভবানীপুর থানা এলাকার একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেই নিয়ে ২ জানুয়ারি ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। আইপিসি ৩৮০ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল ভবানীপুর থানার পুলিশ। সেই চুরির মামলা সংক্রান্ত তদন্তেই এদিন পঞ্চসায়র থানা এলাকার বাসিন্দা কনদ চক্রবর্তীর বাড়িতে যায় পুলিশ। এরপর ওই ব্যক্তি পুলিশকে নিয়ে যায় পূর্ব যাদবপুরের বাসিন্দা এক মহিলার ফ্ল্যাটে। ওই মহিলা কনদের পরিচিত বলেই পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, সেখানে পৌঁছানোর পর শুরুতে পুলিশকর্মীরা ফ্ল্যাটের দরজার বাইরে অপেক্ষা করছিলেন এবং কনদ ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকেছিল। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরই আচমকা ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে তীব্র কান্নার আওয়াজ শুনতে পান পুলিশকর্মীরা। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে তাঁদের। জানা যাচ্ছে, ঘরের ভিতরে ঢোকার পর ওই ব্যক্তি কিছু তরল পদার্থ পান করেছিলেন এবং তারপরই অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির শরীরে কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।