Abhijit Gangopadhyay: ‘CPM-এর ফাঁদে পড়ে অনেক ভাল মানুষের বারোটা বেজেছে’, তাই যাদবপুরের প্রার্থীপদ ফেরান অভিজিৎ

Abhijit Gangopadhyay: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "সিপিআইএমের কাছ থেকেও কিন্তু আমার কাছে প্রস্তাব ছিল যাদবপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর। আমি ২-৪ দিন সময় নিয়েছিলাম। নিয়ে বলে দিয়েছিলাম, না আমি পারছি না। তাতে ওঁরা হয়তো দুঃখ পেয়েছেন। অনেকেই চেয়েছিলেন আমি আসি।"

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 09, 2024 | 12:52 PM

কলকাতা: যাদবপুরে বামেদের হয়ে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ২-৪ দিন ভেবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। TV9 বাংলায় বিস্ফোরক দাবি বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন, তিনি ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাই সিপিএমে যাননি। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শগত কিছু ফারাক রয়েছে। তাই শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষেত্রে তিনি বিজেপিকেই বেছে নিয়েছেন। আর সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাত্র সাত দিনের। সে কথা স্পষ্ট বলেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার TV9 বাংলায় এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ফোরক দাবি করলেন। তিনি বললেন, সিপিএমের তরফেও তাঁর কাছে প্রস্তাব এসেছিল। সেক্ষেত্রে যাদবপুর থেকে কাস্তে হাতুড়ির প্রতীকে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সিপিআইএমের কাছ থেকেও কিন্তু আমার কাছে প্রস্তাব ছিল যাদবপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর। আমি ২-৪ দিন সময় নিয়েছিলাম। নিয়ে বলে দিয়েছিলাম, না আমি পারছি না। তাতে ওঁরা হয়তো দুঃখ পেয়েছেন। অনেকেই চেয়েছিলেন আমি আসি।” তবে কি কেবল ধর্মে বিশ্বাস করেন বলেই তিনি গেলেন না? প্রশ্নটা করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি সাফ বলেন, “সিপিএম শৃঙ্খলা বলে পার্টির অন্দরে যেটা চালায়, এত একটা জটিল ব্যাপার… আর এই পার্টি শৃঙ্খলার ফাঁদে পড়ে কত মানুষের যে বারোটা বেজেছে, ভাল মানুষের, যাঁরা আবেগ নিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে রাজনীতিটা করতে গিয়েছিলেন। ওই একটা পার্টির শৃঙ্খলার নামে চাপিয়ে দেওয়া, এটা করা যাবে, ওটা করা যাবে না, সেটা কোনও ক্রিয়েটিভ লোক মেনে নিতে পারেন না।”

যদিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ওঁকে দাঁড়াবার জন্য বামেদের তরফ থেকে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিনা, সেটা আমার জানা নেই। তিনি বিবেচনা করেছেন, প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওঁ ঠিকই করেছেন। ওঁ শৃঙ্খলা পরায়ণ হতে পারবেন না, যৌথ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, সে জন্যই মার্কসবাদী পার্টির কঠোর শৃঙ্খলা মানতে পারবেন না। এই শৃঙ্খলা কঠিন, সেটা ব্যক্তিসিদ্ধান্ত হতেই পারে।”

প্রসঙ্গত, একদা যাদবপুর ছিল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি।  ১৯৬০ থেকে ১৯৮৪। টানা ২৪ বছর যাদবপুর ছিল সিপিএমের দখলে। ১৯৮৪ সালে এই যাদবপুরেই নক্ষত্রপতন। সিপিআইএমের হেভিওয়েট সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে প্রথমবার লোকসভার সদস্য হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুরে শাসকদলের সাংসদ ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তিনি ইস্তফা দিয়ে দেন।

কলকাতা: যাদবপুরে বামেদের হয়ে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ২-৪ দিন ভেবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। TV9 বাংলায় বিস্ফোরক দাবি বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন, তিনি ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাই সিপিএমে যাননি। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শগত কিছু ফারাক রয়েছে। তাই শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষেত্রে তিনি বিজেপিকেই বেছে নিয়েছেন। আর সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাত্র সাত দিনের। সে কথা স্পষ্ট বলেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার TV9 বাংলায় এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ফোরক দাবি করলেন। তিনি বললেন, সিপিএমের তরফেও তাঁর কাছে প্রস্তাব এসেছিল। সেক্ষেত্রে যাদবপুর থেকে কাস্তে হাতুড়ির প্রতীকে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সিপিআইএমের কাছ থেকেও কিন্তু আমার কাছে প্রস্তাব ছিল যাদবপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর। আমি ২-৪ দিন সময় নিয়েছিলাম। নিয়ে বলে দিয়েছিলাম, না আমি পারছি না। তাতে ওঁরা হয়তো দুঃখ পেয়েছেন। অনেকেই চেয়েছিলেন আমি আসি।” তবে কি কেবল ধর্মে বিশ্বাস করেন বলেই তিনি গেলেন না? প্রশ্নটা করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি সাফ বলেন, “সিপিএম শৃঙ্খলা বলে পার্টির অন্দরে যেটা চালায়, এত একটা জটিল ব্যাপার… আর এই পার্টি শৃঙ্খলার ফাঁদে পড়ে কত মানুষের যে বারোটা বেজেছে, ভাল মানুষের, যাঁরা আবেগ নিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে রাজনীতিটা করতে গিয়েছিলেন। ওই একটা পার্টির শৃঙ্খলার নামে চাপিয়ে দেওয়া, এটা করা যাবে, ওটা করা যাবে না, সেটা কোনও ক্রিয়েটিভ লোক মেনে নিতে পারেন না।”

যদিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ওঁকে দাঁড়াবার জন্য বামেদের তরফ থেকে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিনা, সেটা আমার জানা নেই। তিনি বিবেচনা করেছেন, প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওঁ ঠিকই করেছেন। ওঁ শৃঙ্খলা পরায়ণ হতে পারবেন না, যৌথ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, সে জন্যই মার্কসবাদী পার্টির কঠোর শৃঙ্খলা মানতে পারবেন না। এই শৃঙ্খলা কঠিন, সেটা ব্যক্তিসিদ্ধান্ত হতেই পারে।”

প্রসঙ্গত, একদা যাদবপুর ছিল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি।  ১৯৬০ থেকে ১৯৮৪। টানা ২৪ বছর যাদবপুর ছিল সিপিএমের দখলে। ১৯৮৪ সালে এই যাদবপুরেই নক্ষত্রপতন। সিপিআইএমের হেভিওয়েট সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে প্রথমবার লোকসভার সদস্য হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুরে শাসকদলের সাংসদ ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তিনি ইস্তফা দিয়ে দেন।